Does running a laptop charge damage the laptop, or is it better to run it with a charge?
Lithium ion batteries are commonly
used in laptops. When the lithium ion battery is fully charged, its capacity gradually decreases. So it is better to charge the battery 80% when using laptop at home or office. But if you always use
the laptop to charge, the amount of 100% charge of the battery will continue to increase normally. At the same time, the capacity of the battery will gradually decrease. But it is also inconvenient to charge the laptop repeatedly while using the
laptop for a long time. As a solution to this problem, there are some softwares that can be installed to
determine the maximum charge that a laptop can be. This means that if you set 60% or 70% in that software, then the laptop will stop charging automatically after maximum 60% or 80%
charge and the battery will remain in 60% or 60% charged condition when the laptop is charged. ASUS is one such software for laptops "ASUS Battery Health Charging". There is a similar software for LENOVO laptops. You need to google a little to know if there is any software
for your laptop. And if you do not have any software for your laptop, let the laptop be charged to a maximum of 80% and turn off the charger. When the charge is reduced to about
30%, re-charge. In this way the battery life of the laptop can be extended at least a little.
To view the interface of "ASUS Battery Health Charging" -
Many of us want to know how do we start blogging? And how can we make money from Google Adsense? Here are some important things that are very important for those who want to work with Google AdSense or are working with Google AdSense.। There are many people who work with Google Adsense but they do not know these things. Get to know some of the essential things you don't know. How to make more money from your Google Adsense? How to keep your Google AdSense secure? And how to build a career with blogging? There are many people who do not know much about Google AdSense, which is why their Google AdSense is banned after a few days.
1. How to survive in blogging.
There are many people who are earning income from Google Adsense but very little. He even created a website in the hope of working with Google Adsense and earning income from Google Adsense but got stuck after going some distance. Can't go any further The main reason for this is how much you know about the subject on which you have created the web site. Now the thing is that you know very well about the subject, the subject you work with great interest, and the subject you like to think about, write about, and research, even if you have a good knowledge of that subject. Build your website based on. . If you build your website based on something you know about, then of course you can do better. Before you start building a website, be sure to consider how much you know about it.
2. Ways to increase your AdSense revenue:
Income from Google Adsense is low? What to do for this? If you want to increase the revenue of your blog, you should work with more than one web site and I would suggest that you work with multiple websites so that each blog has the same cost.Then you will have a lot of benefits to write or keep the blog alive. If you create different categories of web site then you have to recharge about every subject. And you will get tired one day. That's why I say you must start your blogging career with a topic
3. Ways to increase visitors:
Can't find visitors? The main reason is your content. No matter what you are blogging about, you must post good content. If you post well like regular then Google will definitely give you ranking. And your posts must be made for visitors not for search engines. Because when those visitors like the information on your website, Google will like your website, and then Google will give you visitors. And whenever a visitor comes to your website and returns without getting the desired information, Google will no longer like you and the bounce rate will increase. You will lose ranking. In a word, give good content. You just have to be more discriminating with the help you render toward other people.
প্রশ্নকর্তা বোধহয় বিজ্ঞানের বিষয়ে একেবারেই খোঁজখবর রাখেন না কারণ মানুষের আসার ব্যাপারটা আজ আর কোনো রহস্য তো নয়ই, বরং একটা স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাও আপনাকে বলতে দিতে পারে মানুষ কোথা থেকে এসেছে |
আপনি যদি প্রশ্নটা করবার আগে একবার গুগলকেও জিজ্ঞেস করতেন, তাহলেও এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যেতেন; আমিই আপনার হয়ে করে দিলাম সেটা আর এই লিঙ্কটা ধরুন: Human evolution
আর হ্যাঁ, অনুগ্রহ করে লিখতে বসবেন না যে বিবর্তন একটা 'কল্পিত ধারণা' মাত্র | বিজ্ঞানটা ধর্ম নয়; এখানে প্রমাণ ছাড়া কোনো কাজ-কারবার হয় না আর প্রমাণ ব্যতীত কোনো তত্ত্বেরই ঠাঁই নেই এখানে | যারা এটা বোঝে না তারা আর যাই বুঝুক, বিজ্ঞানটা বোঝে না |
আর চিন্তা নেই, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আপনাকে বিশ্বাস করতে বলা হবে না; বরং সন্দেহই করবেন আর প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন | এটাই বিজ্ঞানের নীতি
একটা ছেলে ছিল যার খুব মেজাজ খারাপ হত। ছোট খাটো প্রত্যেকটা বিষয়ে সে রেগে যেত।
একদিন, তার বাবা তাকে পেরেকের একটি ব্যাগ দিয়ে বলল, "প্রতিবার যখন তোমার রাগ হবে, সামনের দেয়ালে একটি করে পেরেক ঠুকবে।"
এরপর ছেলেটি তার বাবার বুদ্ধিমত কাজ শুরু করে দিল।
প্রথম দিন, সে ৫০ টি পেরেক ঠুকল। পরের দিন, ৪০ টি।
প্রতিবার যখন সে পেরেক ঠুকতে যেত, রেগে যাওয়ার কারণে সে অনুতপ্ত হত—রাগের মধ্যে দেয়ালে পেরেক ঠোকা যেন একটা চ্যালেঞ্জ!
ধীরে ধীরে, ছেলেটা বুঝতে পারল যে দেয়ালে পেরেক ঠোকার চেয়ে বরং রাগ নিয়ন্ত্রণ করাটাই সহজ এবং তার ঠোকা পেরেকের সংখ্যা কমতে লাগল।
অবশেষে, একদিন সে আর একবার-ও রাগল না, এবং সে এর আনন্দ অনুভব করল।
এখন তার বাবা তাকে আরও একটি কাজ দিল, "তুমি যদি সারা দিনে একবার-ও রেগে না যাও তবে দেয়াল থেকে একটি করে পেরেক তুলে ফেলবে।"
বেশ কিছুদিন পরে, সে সমস্ত পেরেক উঠিয়ে ফেলল।
এবার তার বাবা তাকে দেয়ালের কাছে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল যে সে কী দেখতে পাচ্ছে?
ছেলেটি উত্তর দিল যে সে দেয়ালে অনেকগুলো গর্ত দেখতে পাচ্ছে।
তারপর তার বাবা বলল, "এই গর্তগুলি এমন সব ক্ষতচিহ্নের মতো যা তুমি রাগের সময় অন্যদেরকে দিয়ে ফেল। এরপর তুমি যতবারই দুঃখ প্রকাশ কর না কেন, দাগ কিছুতেই উঠে না।"
আমি তাই আপনাকে দুটি জিনিস প্রস্তাব করব :
একবার বলে ফেলা কথা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। আপনার রাগ অন্যকে কষ্ট দেয় এবং একটি জ্বালাময় ছাপ ফেলে যা চিরকাল স্থায়ী হয়।
যখনি আপনার রাগ হবে, "একটি পেরেক ঠুকবেন।"
খুব সহজ কাজ যা আপনি করতে পারেন একটা ছোট্ট পকেট ডায়েরি সাথে রাখা। প্রতিবার যখন আপনার রাগ হবে, ডায়েরিতে একটি করে লাইন লিখবেন।
তারপর রাতের বেলা গুনে দেখবেন সেদিনে কতটা লাইন লিখলেন। আপনি যদি এটিকে একটি অভ্যাস বানিয়ে ফেলেন তবে প্রতিবার যখন আপনার রাগ হবে তখন প্রতিবার আপনার সেটা নোট করে রাখার কথা মনে পড়বে।
পরোক্ষভাবে, আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার রাগ হচ্ছে। আর যেহেতু এখন আপনি অবগত এবং সচেতন আছেন, আপনার পদক্ষেপগুলি নিয়ন্ত্রণ করা এবং রাগ বশীভূত করা আপনার পক্ষে সহজ হয়ে যাবে।
আশা করব—সেই দিনটি খুব শীঘ্রই আসুক যেদিন আপনার ডায়েরিতে একটাও লাইন লিখতে হবে না।
জ্যাকি চ্যান তার মায়ের গর্ভে ১২মাসের বেশি সময় ছিলেন।
অ্যামজন বন পৃথিবীর ২০% অক্সিজেন উৎপাদন করে।
আনাবেল পুতুলের পিছনের গল্প
১৯৭০ সালে একজন মা একটা শখের দোকান থেকে অ্যান ডল (Anne Doll) নামে একটি পুতুল কিনেছিলেন। পুতুলটি তার মেয়ে ডোনার জন্মদিনের উপহার ছিল। শীঘ্রই তারা দেখল পুতুলটি নিজে নিজে চলতে পারে এবং এটি লিখতেও পারে। আনাবেল এখন ওয়ারেন অকাল্ট মিউজিয়ামে(Warren Occult Museum) একটি কাচের বাক্সে লক করা আছে যেখানে এটি এখনো নড়চড়া করে এবং দর্শনার্থীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে।
জিয়াওলি নামে চীনের এক মহিলার ২০ জন প্রেমিক রয়েছে এবং প্রত্যেকে তাকে আইফোন সেভেন প্লাস গিফট করে।
তিনি এগুলো বিক্রি করে একটা নতুন বাড়ি ক্রয় করেন।
ভারতীয়রা এটা জেনে গর্বিত হবেন যে
ভারতীয় সেনাবাহিনী বিশ্বের ২য় বৃহত্তম সেনাবাহিনী।
সাগরের উপরে হ্রদ
ফারো দ্বীপপুঞ্জ........ ডেনমার্ক।
আপনি কি জানেন?
বিল গেটস বিশ্বের ১৪০টি দেশের চেয়ে বেশি ধনী।
আমোন হাজী নামে ইরানি মানুষ বিশ্বের সবচেয়ে নোংরা ব্যক্তি, কারণ তিনি ৬০ বছর গোসল করেননি। তিনি পঁচা প্রাণী খান। তিনি বিশ্বাস করেন যে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতা তাকে অসুস্থ করে তোলে।
আপনি কি এটা জানেন?
কোটার্ডস সিনড্রোম একটি বিরল মানসিক ব্যাধি যেখানে ধারণা করা হয় যে তারা ক্ষয়প্রাপ্ত, মৃত বা অস্তিত্বহীন।
পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের জন্য ৪২২ টি করে গাছ আছে।
ইন্ডিয়াতে জনপ্রতি মাত্র ২৮টি গাছ রয়েছে। চীন ১৩০, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৬৯৯, রাশিয়া ৪৮২৬। সিঙ্গাপুর ও সৌদি আরবের মাথাপিছু একটি গাছেরও কম রয়েছে।
বনগাইগান আসামে একটি জায়গা রয়েছে যেখানে চম্পাবতী ব্রম্মপুত্রের সাথে মিলিত হয় এবং সেই দৃশ্যটি ভারতের মানচিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে।
মালদ্বীপের প্রকৃতিক রাস্তা
আর্জেন্টিনায় একটি গিটার আকৃতির বন আছে।
একজন কৃষক তার প্রয়াত স্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে এই বন তৈরি করেছিলেন।
আগুনের কোনো ছায়া (shadow)নেই।
বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা স্ট্যাচু। স্ট্যাচু অব ইউনিটি… ইন্ডিয়া
কোমল পানীয় পেপসি এবং কোকাকোলা নিয়ে মিথ্যাচার করতে গিয়ে আমরা নিজেদের মূল্য কতটুকু কমিয়েছে, ভেবে দেখেছেন কখনো? হ্যাঁ, যেহেতু এটা তৃতীয় শ্রেণীর টপিক। তাই ব্যাপারটাকে পাত্তা না দেয়াই স্বাভাবিক।
গত কয়েকবছর যাবৎ পেপসি এবং কোকাকোলা নিয়ে নেতিবাচক অনেক কথা শুনেছি। ফেসবুকেও মানুষকে দেখেছি ঢালাওভাবে সচেতনতামূলক পোস্ট শেয়ার করতে। কেউ বলছে, কোক পেপসিতে নাকি শূকরের রক্ত মেশানো হয়। কেউ বলছে, মানুষের রক্তও মেশানো হয়। আবার কেউ কেউ রীতিমত ঘোষণা দিয়ে ফেলেছেন, পেপসি নাকি একটি ইসরাইলি প্রতিষ্ঠান ! তাই তারা পেপসি বর্জন করেছেন।
যতটুকু মনে পড়ে, এই ইস্যুটার সময় বড় বড় কিছু ফেসবুক পেজে পেপসি উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান PepsiCo কে ‘ইসরায়েলের সাহায্যকারী’ প্রতিষ্ঠান বলা হয়েছে। সেখানে PEPSI এর পূর্ণাঙ্গ রুপ হিসেবে দেখানো হয়েছে, Pay Each Penny to Save Israel !
অন্যদিকে Cola-Cola এর লোগো নিয়ে বলা হয়েছে, এটা উল্টো করে ধরলে যা আসে, তা আরবীতে পড়লে আল্লাহ পাক এবং মহানবী (সাঃ) কে অস্বীকৃতি জানানো হয়।
এরপরই শুরু হয় ব্যাপক হইহুল্লোড়। দেশের আনাচে কানাচে মসজিদ মাদ্রাসার হুজুররা বিভিন্ন ওয়াজ মাহফিলে গিয়ে কোক পেপসির বিরুদ্ধে প্রচারণা চালান। তারপর যা হবার কথা, তার ফলাফল এখনো চলমান। রাস্তায় দাঁড়িয়ে পেপসি খাচ্ছি। পাশ থেকে কেউ একজন বলে উঠলো, ‘ভাই আপনি কি মুসলমান?’
এবার একটু ভেতরে যাওয়া যাক !
Pepsi ও Coca-Cola এর উৎপত্তি আমেরিকায়। পেপসির নামকরণ করা হয় ১৮৯৮ সালে। তখন ইসরায়েল বাঁচানোর মতো কোনো ঘটনা বা প্রেক্ষাপট পৃথিবী দেখেনি। Pepsi নামটি এসেছে Pepsin নামক একটি এনজাইমের নাম থেকে, এটা ছিলো পেপসিতে ব্যবহার করা সে সময়কার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ছিল। পেপসিন একটি গ্রিক শব্দ, যার আক্ষরিক অর্থ হচ্ছে হজম করা।
১৯৬৬ সালে পেপসিকো (PepsiCo) যখন ইসরায়েলে তাদের শাখা খুলতে চেয়েছিলো, তখন মধ্যপ্রাচ্য ছিলো তাদের বড় একটি বাজার। ইসরায়েলে শাখা খুললে মধ্যপ্রাচ্যের ৪০টি দেশ তাদের বাণিজ্য বয়কট করতে চায়। তখন কোনো এক সূক্ষ্ম বুদ্ধিওয়ালা আদমির মাথা থেকে Pepsi নামের ব্যাখ্যা হিসেবে আসে Pay Each Penny to Save Israel ! জনবিক্ষোভের মুখে একসময় তারা বাধ্য হয় ইসরায়েল থেকে ব্যবসায় সরিয়ে আনতে। আজ মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বেশি প্রচলিত পানীয়গুলোর মধ্যে মাক্কাকোলার পরেই পেপসির অবস্থান। উৎস ছাড়া এই নামটি আমাদের মুখে মুখে রয়ে যায়।
অন্যদিকে ১৮৮৬ সালে আমেরিকায় Coca-Cola প্রথম উৎপন্ন হয়। কোকাকোলা তৈরির প্রথম উপাদান ছিল Cocaine আর Caffeine। কোকেন পাওয়া যায় Coca পাতা থেকে আর Caffeine পাওয়া যায় Kola Nut থেকে। সেই Kola থেকে Cola নাম এসেছে। কোকাকোলার মার্কেটিং ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক রবিনসন (Frank Robinson) এ নামটি রাখেন। লোগো ডিজাইনটিও তিনিই তৈরি করেন। ফ্রাঙ্ক রবিনসন তার সারাজীবন আমেরিকায় কাটিয়েছেন। তিনি ছিলেন খুবই স্বল্পশিক্ষিত। আরবী জানার সম্ভাবনা তার মধ্যে নেই। আরবীকে উল্টো করে লিখে ইসলাম অবমাননা করতে হলেও সেজন্য প্রচুর জ্ঞানী এবং পন্ডিত টাইপের কাউকে প্রয়োজন। যেখানে আপনার আমার মত সাধারণ মানুষ আরবী হরফ চিনলেও উচ্চারণ করতে বারোটা বেজে যায়। অর্থ বোঝা তো দূরের কথা !
যাই হোক, ১৯৪৯ সালে কোকাকোলা ইসরায়েলে তাদের বোতল তৈরির ফ্যাক্টরি চালু করেছিলো। এ নিয়ে কূটনৈতিক কারণে মধ্যপ্রাচ্যে তখন কোকাকোলা বয়কট করা হয়।
পেপসি এবং কোকাকোলা নিয়ে ছড়ানো তথ্যটি যে একটি মিথ্যাচার, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইট সহ আরো অনেক জার্নাল ঘেঁটে দেখেছি। বিষয়টির পক্ষে বিপক্ষে আলোচনাকারী বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে উপাত্ত জোগাড় করেছি। কোকাকোলা এর লোগোর ইতিহাস পড়ে দেখলাম, এটা আসলে উদ্দেশ্য প্রণোদিত নয়। লোগোটি যে বানিয়েছে, সেই ফ্রান্স রবিনসনের জীবনীও পড়লাম। ঘাঁটাঘাঁটি করতে গিয়ে একটা জিনিস লক্ষ্য করলাম, পেপসি এবং কোকাকোলার যে অপবাদটা দেয়া হয়েছে, তার কোন শিকড়ই নেই। অনেকে এই মিথ্যাচারের পক্ষে লিখতে গিয়ে রেফারেন্স হিসেবে কিছু নিউজ লিংক দিয়েছে। লিংকে ঢুকলে দেখা যায়, সেখানে এরকম কিছুই বলা হয়নি। আর দুয়েকটা নিউজ লিংক পাওয়া যাবে, যেগুলো কোনো প্রতিষ্ঠিত নিউজ সাইট নয়। আমাদের দেশের অনলাইন নিউজপোর্টালগুলোর মত তৃতীয় শ্রেণীর ব্যক্তিগত সাইটগুলো থেকে এটা ছড়ানো হয়েছে। যার কোনো অথেন্টিসিটি বা ভেরিফাইড সোর্সই নেই ! আসলে, মিথ্যার কোনো শেঁকড় থাকে না। শুধু অজস্র শাখা প্রশাখা থাকে ! প্রবাদটা ঠিকই ছিলো।
কিছু মানুষ ব্যক্তিগত স্বার্থে এভাবেই আমাদের ধর্মীয় অনুভূতিকে পুঁজি করে মিথ্যাচার ছড়াচ্ছে। ব্যক্তিগতভাবে আমিও ইসরায়েল প্রতিষ্ঠাকে “অতিথিকর্তৃক জমি দখল” এবং আমেরিকার পুঁজিবাদকে “সাম্রাজ্যবাদের” সাথে তুলনা করি। কিন্তু অপরাধীর ক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় নেই না। এসব মিথ্যাচার আমাদের ধর্মকে ছোট করছে। অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের কাছে মুসলমানরা পরিণত হচ্ছেন হাসির পাত্রে !
যার ফল হিসেবে ইসলামিক তথ্যের ডাটাবেজ ‘উইকি ইসলাম’ নামক ওয়েবসাইটেও আজ Muslim Conspiracy Theories বা ‘মুসলমানদের বানানো চক্রান্ত’ নামক আর্টিকেল স্থান পায় !
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদনে বলা হয়, আটলান্টা জার্নাল কনস্টিটিউশনের ১৯৭৯ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি সংখ্যায় একটি ছবি ছাপানো হয়। ছবিতে মেলে ধরা একটি বইয়ে ওই ফর্মুলা লেখা ছিল যা পেমবারটনের হুবহু বলে দাবি করা হয়।
গোপন ফরমুলার উপাদানগুলো হল- কোকার ৩ ড্রামস ইউএসপি তরল নির্যাস, সাইট্রিক অ্যাসিড ৩ আউন্স, ক্যাফেইন ১ আউন্স, চিনি ৩০ (একক উল্লেখ নেই), পানি ২ দশমিক ৫ গ্যালন, লেবুর জুস ২ পাইন্টের কিছু বেশি (১ পাইন্ট = ব্রিটিশ ৫৬৮ এমএল, মার্কিন ৪৭৩ এমএল), ভ্যানিলা ১ আউন্স, কারামেল (পোড়া চিনি) দেড় আউন্স এবং রং ও ৭ঢ এর ফেভার। রেসিপিতে আরও আছে- অ্যালকোহল ৮ আউন্স, কমলার তেল ২০ ফোঁটা, লেবুর তেল ৩০ ফোঁটা, জায়ফলের তেল ১০ ফোঁটা, ধনে পাতার রস ৫ ফোঁটা, নেরুলি তেল ১০ ফোঁটা এবং দারুচিনির নির্যাস ১০ ফোঁটা।
এক ক্যান কোক (১২ ফ্লুইড আউন্স/৩৫৫ মিলিলিটার)-এ ৩৯ গ্রাম শর্করা (সম্পূর্ণটাই চিনি থেকে) থাকে। এছাড়া থাকে ৫০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ০ গ্রাম চর্বি, ০ গ্রাম পটাশিয়াম, এবং ১৪০ ক্যালরি।
শুরুতেই আসা যাক জনপ্রিয় এই পানীয়টির আবিষ্কারকের কথায়। জন স্মিথ পেমবার্টন কোকাকোলার আবিষ্কারক। তিনি ছিলেন একজন হাতুড়ে ডাক্তার এবং ছোটখাটো রসায়নবিদ।
কোকাকোলা আবিষ্কারের গল্প: দিনটি ছিল ১৮৮৬ সালের ৮ মে। প্রথম চেষ্টায় পেমবার্টন এক ধরনের ওষুধ বা সিরাপ তৈরি করেন, যেটি কিনা প্রতি গ্লাস ৫ সেন্ট করে বিক্রি করা হতো। মাথাব্যাথা ও ক্লান্তি থেকে মুক্তি পেতে আমেরিকার মানুষ এই সিরাপ খেত৷ পরে নতুন আরও অনেক রাসায়নিক যুক্ত হয়ে তৈরি হয়েছে আজকের কোকাকোলা। দ্বিতীয় ধাপে এসে পেমবার্টন সেই সিরাপ এর সঙ্গে কোকো গাছের পাতার নির্যাস মিশিয়ে নতুন এক ধরনের পানীয় তৈরি করেন। যার নাম দেন ‘ভিন মারিয়ানি’। এটি ওষুধের দোকানে নার্ভ সতেজ রাখার টনিক হিসেবে বিক্রি করা হত। কিন্তু পেমবার্টন চেয়েছিলেন এমন কোনও পানীয় তৈরি করতে যেটি পান করলে একই সঙ্গে তৃষ্ণা নিবারণ ও শরীর-মনে চনমনে ভাব চলে আসে।
পেমবার্টন আগে থেকেই জানতেন যে, আফ্রিকার মানুষ তৃষ্ণা নিবারণ ও শরীর চনমনে রাখতে কোলাগাছের বাদাম চিবিয়ে খায়। তাই তিনি এবার তার সেই যুগান্তকারী পানীয় আবিষ্কারের জন্য সেই কোলাগাছের বাদামের দিকে মনোযোগ দেন। পেমবার্টন তাঁর ল্যাবরেটরিতে কোলা গাছের বাদাম পরীক্ষা করে দেখেন তাতে রয়েছে ক্যাফিন ও থিওব্রোমিন। এই দুটির মিশ্রণে তৈরি পানীয়টি স্টিমুল্যান্ট বা উত্তেজক ওষুধের মতো কাজ করে। পেমবার্টন তাঁর আগে তৈরি সিরাপের সঙ্গে কোলা গাছের বাদামের গুড়া, চিনি এবং কিছু সুগন্ধি দ্রব্য মেশান। তারপর সেই মিশ্রণ থেকে বুদবুদ উঠতে থাকে এবং এক ধরনের গাঢ় পানীয় তৈরি হয়। উচ্ছ্বসিত পেমবার্টন একদিন তাঁর আবিষ্কৃত নতুন পানীয়টি একটি তিন চাকাযুক্ত একটি বড় পিতলের পাত্রে করে ঠেলে নিয়ে যান পার্টনার ফ্র্যাংক রবিনসনের কাছে। পেমবার্টন এর আবিষ্কৃত নতুন পানীয় পান করেই রবিনসন উল্লসিত হয়ে সেই মুহূর্তেই পানীয়টির নাম দেন ‘কোকাকোলা’। উল্লেখ্য, প্রথমদিকে কোকাকোলার সাথে কোকেন মেশানোর বিষয়টি কিন্তু যথেষ্ট প্রচলিত ছিল।
প্রথমদিকের বিক্রি: প্রথম দিকে প্রতিদিন ৯ গ্লাস কোকাকোলা বিক্রি হত। প্রথম বছরে তিনি ৫০ ডলার আয় করেন কিন্তু ব্যয় হয় ৭০ ডলার। ব্যবসা সম্পর্কে পেমবার্টন খুব বেশি কৌশলী ছিলেন না। তাই তিনি তার ব্যবসায়ের সমস্ত শেয়ার একে একে বিভিন্ন জনের কাছে বিক্রি করে দিতে থাকেন। ১৮৮৯ সালে এ.জি ক্যান্ডলার নামে এক ব্যবসায়ীর কাছে তার আবিষ্কৃত পানীয়টির তৈরির ফর্মুলা-সহ সমস্ত শেয়ার বিক্রি করে দেন।
পেমবার্টন এর গল্পের ইতি: ক্যান্ডলারের কাছে ফর্মূলা ও শেয়ার বিক্রি করার পর ‘কোকাকোলা’র সঙ্গে পেমবার্টনের আর কোনও সম্পর্ক নেই। পেমবার্টন এর কাছ থেকে শেয়ার কেনার তিন বছর পর ক্যান্ডেলার পেমবার্টন এর অভিজ্ঞ পার্টনার রবিনসন ও আরও দুজন ব্যক্তিকে ‘কোকাকোলা কোম্পানি’ প্রতিষ্ঠা করেন। সে সময় তাদের মূলধন ছিল ১ লাখ ডলার। ক্যান্ডেলার পেমবার্টন এর আবিষ্কৃত পানীয়তে কিছুটা পরিবর্তন আনেন। তিনি এর সাথে কার্বনেটেড ওয়াটার বা কার্বন ডাই অক্সাইড মিশ্রিত জল মিশিয়ে এক রসনাতৃপ্তিদায়ক পানীয় উপহার দিলেন। ক্যাণ্ডলারই প্রথম ব্যক্তি যিনি কোকাকোলাকে এতটা জনপ্রিয় করে তোলেন। ফলে নতুন স্বাদের এই ‘কোক’ বাজারে হু হু করে বিকোতে লাগল। প্রথমে গ্লাসে গ্লাসে শরবত হিসাবে বিক্রি হলেও বোতলভর্তি কোকাকোলা বিক্রি শুরু হয় ১৮৯৪ সালে। কিন্তু তার আগে তাদেরকে নতুন এই পানীয়টিতে মানুষকে অভ্যস্ত করতে বহু চড়াই-উৎরাই পেরোতে হয়েছে।
প্রথমে ফ্রি-তে খাওয়ানো হতো ‘কোক’: যাঁরা এই পানীয়টি সম্পর্কে জানতেন না, তাদেরকে জানানোর জন্য ক্যান্ডেলার ১৮৯১ সালে ক্যালেন্ডারে, পেপারে এবং নোটবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করেন। এতেও যখন খুব বেশি লাভ না হয় তখন ক্যান্ডেলার বিপণন কর্মী নিয়োগ করেন। যাঁদের কাজ ছিল সাধারণ মানুষের কাছে ফ্রি কুপন বিলি করা। এই ফ্রি কুপন দিয়ে দোকান থেকে বিনামূল্যে কোক পাওয়া যেত। এটি ছিল ক্যান্ডেলারের ব্যবসায়িক কৌশল। যারা প্রথমবার ফ্রি-তে এই কোকাকোলা পান করেন, তারা পরবর্তীতে টাকা দিয়ে কিনে কোকাকোলা পান করতে বাধ্য হয়েছেন। এভাবেই আস্তে আস্তে আমেরিকাবাসীদের কাছে কোকাকোলা জনপ্রিয় একটি পানীয়তে পরিণত হয়।
বিজ্ঞাপনেই বাজিমাৎ: শুরুর দিকে গরমের সময়ে এই সফট ড্রিংকটি ভালো বিক্রি হলেও শীতের সময়ে তা একেবারেই কমে যায়। বেশ কয়েকবছর এভাবেই চলতে থাকে। ক্যান্ডেলারের মাথায় তখন ভর করে নতুন এক কৌশল। ১৯২২-এর ডিসেম্বরে সংবাদপত্রের পুরো পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন দিলেন ‘থার্স্ট নোওজ নো সিজন’! চারটি শব্দের ওই বিজ্ঞাপন কয়েকবার ছাপানোর পর ম্যাজিকের মতো কাজ হল। শীতেও বিক্রি এত বাড়তে শুরু করল যে, প্রস্তুতকারকরা হিমশিম খেয়ে গেলেন।
নামকরণ ও লোগো: ‘কোকাকোলা’ নামকরণটি করেন পেমবার্টন-এর রবিনসন। cocain এবং cola nut থেকে তৈরি বলে এর নাম দেওয়া হয় কোকাকোলা। সে সময় তিনি একটু হেলানো, বাঁকা অক্ষরে একটি লোগোও তৈরি করে দেন। শুরু থেকে এখন পর্যন্ত কোকাকোলার অনেক কিছু পরিবর্তন হলেও নামের কোনও পরিবর্তন করা হয় নি।
সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ল যে দিন: আমেরিকায় জনপ্রিয় হওয়ার পর কোকাকোলা কর্তৃপক্ষ বুঝতে পারে তাদের এখন ইউরোপের বাজারে প্রবেশ করা উচিৎ। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সেই সুযোগ এনেও দেয়। আমেরিকান সৈন্যদের হাত ধরে কোকাকোলা পৌঁছে যায় ইউরোপ এবং এশিয়ায়। তারা বিভিন্ন দেশের স্থানীয় বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে ব্যাবহার শুরু করে। বিশ্বে মায়ানমার ও সিরিয়া বাদে বাকি সব দেশেই কোকাকোলা পাওয়া যায়। পাকিস্তান, কম্বোডিয়া, জিম্বাবোয়ের মতো অর্থনৈতিক সংকটপূর্ণ দেশেও কোকাকোলার দারুণ বিক্রি। তাদের রয়েছে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেল। যার ফলে আপনি যেখানেই থাকুন না কেন পায়ে হাঁটা দূরত্বের মধ্যই কোকাকোলা পেয়ে যাবেন। জানলে অবাক হবেন যে এই পানীয়ের ব্র্যান্ডভ্যালু এতই দৃঢ় যে ইংরেজি শব্দ ‘Kola’ পরিবর্তন হয়ে ‘Cola’ হয়ে গিয়েছে।
পৃথিবীর সবচেয়ে গোপন রেসিপি: পৃথিবীতে গোপন যত বিষয় আছে তার মধ্যে অন্যতম হলো কোকাকোলার রেসিপি। কোকাকোলার রেসিপিটি তৈরি করেন পেমবার্টন। ক্যান্ডেলার, পেমবার্টন এর কাছ থেকে রেসিপি-সহ সম্পূর্ণ স্বত্ব কিনে নেন। যুগ যুগ ধরে অতি বিশ্বস্ত লোক ছাড়া কোকাকোলার এই রেসিপিটি সম্পর্কে কেউ জানতো না। ২০১১ সালের ডিসেম্বরে ৬.৬ ফুট মোটা ধাতব একটি ভল্ট বানানো হয় যেখানে কোকাকোলার রেসিপি নিয়ে কাজ করা হয়। এখানে রেসিপি সংশ্লিষ্ট বিশ্বস্ত লোক ছাড়া অন্য কেউ প্রবেশ করতে পারে না। আমেরিকার ট্রাস্ট কোম্পানি অফ জর্জিয়া নামের ব্যাঙ্কের সেফ ডিপোজিট ভল্টে ‘7x’ চিহ্নিত কোকের ‘রিয়েল থিং’টি সযত্নে রাখা হয়েছে। যে দশ জন অফিসারের হাতে ফর্মুলার চাবিকাঠি রয়েছে, তাঁদের একসঙ্গে বসবাস এবং চলাফেরা নিষিদ্ধ।
কোকের যে বোতলগুলি ত্রুটিগত কারণের জন্য কোনোদিনও প্রকাশ্যে আসেনি
আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে কোকাকোলার গোপন রেসিপি: সারা বিশ্ব জুড়ে হইচই ফেলে দেওয়া একটি পানীয়র গোপন রেসিপি সম্পর্কে টনক নড়ে আমেরিকার ফেডেরাল সরকারের। ১৯০৯ সালে আমেরিকার ফেডেরাল সরকার কোকাকোলার গোপন রেসিপি জানার জন্য আদালতের শরণাপন্ন হন। এই মামলাটি ৯ বছর ধরে চলে। অবশেষে আদালতের রায় কোকাকোলা কোম্পানির পক্ষেই যায়।
মানবদেহের ক্ষতিকর উপাদান: বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এই পানীয় কোম্পানিটিকে আদালতের কাঠগড়ায়ও দাঁড়াতে হয়েছিল। ভারতের ‘সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যাণ্ড এনভায়রনমেন্ট’ (CSE) কোকাকোলার ১২টি পণ্যের নমুনা পরীক্ষা করে মানবদেহ ও উদ্ভিদ দেহের জন্য ক্ষতিকর কীটনাশক, পোকামাকড় ধ্বংসকারী রসায়নিক দ্রব্যাদির মিশ্রণ এমন মাত্রায় রয়েছে যার কারণে পাকস্থলির বিভিন্ন অসুখ, দেহে খনিজ পদার্থের ঘনত্ব কমানো, স্নায়ুতন্ত্রে সমস্যা, জন্মকালীন বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। কোক-বটলিং প্ল্যান্টের বর্জ্যেও পাওয়া পাওয়া গেছে বিষাক্ত ক্যাডমিয়াম ও সিসা। ক্যাডমিয়াম বিকল করতে পারে কিডনি। সিসার প্রভাবে শিশুদের মধ্যে দেখা দিতে পারে মানসিক জড়তা ও ভয়াবহ রক্তাল্পতা!
জানেন কি?
এখন পর্যন্ত উৎপাদিত কোকাকোলার সবকটি বোতল যদি পাশাপাশি এক প্রান্তের সাথে আর এক প্রান্তে শেকলের মত করে রাখা হয় তাহলে অন্তত ১০০০ বার চাঁদে আসা-যাওয়ার সমান লম্বা হবে। একই ভাবে আজ পর্যন্ত উৎপাদিত হওয়া সব কোকাকোলার বোতলের চেন বানালে পুরো পৃথিবী ৪০০০ বারের বেশি ঘুরে আসা যাবে।
এখন পর্যন্ত উৎপাদিত কোকাকোলার সব বোতল যদি মানুষের মধ্যে বিলি করা হয় তাহলে প্রত্যেকে ১০০০ টির বেশি বোতল পাবে।
বিশ্বে প্রতি সেকেন্ডে প্রায় ৮০০০ গ্লাসেরও বেশি কোকাকোলা খাওয়া হয়ে থাকে।
কোকাকোলা ব্র্যান্ড কোক ছাড়াও আরো প্রায় ৩৫০০ রকমের বেভারেজ তৈরি করে। প্রতিদিন অন্তত ৩টা করে বেভারেজ খেলেও সবকটির স্বাদ নিতে আপনার ৩ বছরেরও বেশি সময় লাগবে।
পৃথিবীর ৯০% মানুষই কোকাকোলার লাল লোগোটি চেনেন।
আটলান্টা, লাস ভেগাসে শুধু কোকাকোলার জন্যই একটি করে বরাদ্দ মিউজিয়াম রয়েছে।
সাধারণ মানুষ হিসেবে আকছার এইসব চিহ্ন দেখতে পাই কিন্তু ঠিক বুঝি না কী জিনিস এগুলো। বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়, "এই চিহ্ন দেখে তবেই কিনবেন"। কিন্তু খুব কম ক্ষেত্রেই আমরা জানার চেষ্টা করি এগুলো কী জিনিস। আজ তাই সময় এসেছে এগুলো সম্পর্কে জানার।
এই বিষয়ে যাবার আগে জানতে হবে Intellectual Property বা মেধাসম্পদ কী জিনিস। সাধারণ ভাবে যদি বোঝার চেষ্টা করি তাহলে বলা যেতে পারে, যেসব সম্পদ মানুষের intellect বা বুদ্ধি থেকে আসে তাকেই বলা হয় Intellectual Property। এইসব সম্পত্তি আমাদের বাস্তব জীবনে ব্যবহৃত সম্পদের মত নয় যাকে ইংরেজিতে বলা হয় intangible। মানে ধরুন আপনার কাছে একটা পেন আছে। ওটা অবশ্যই আপনার সম্পত্তি। এবার ধরুন ওই পেন দিয়ে একটা একটা গল্প লিখলেন। তো এই গল্প কী আপনার সম্পত্তি? আপনি বলবেন, হ্যাঁ। কারণ ওটা আপনি আপনার মেধা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সেই হিসেবে ওটা আপনার সম্পত্তি। আর এই "গল্প"টা হলো Intellectual Property বা মেধাসম্পদ।
সব মেধাসম্পদ আবার একই গোত্রীয় নয়। মানে আপনার "আঁকা ছবি"ও মেধাসম্পদ আবার ধরুন "কোনো উৎকৃষ্ট খাবার তৈরির পদ্ধতি" সেটাও একরকমের মেধাসম্পদ। কিন্তু দুটো একরকমের নয়। বিভিন্ন রকমের মেধাসম্পদ আছে আমাদের চারপাশে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কপিরাইট, পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক ইত্যাদি। এগুলোকে মেধাসম্পদ বলার থেকে বলা ভালো," আপনার মেধাসম্পদ যে আপনার", সেটা রক্ষা করার হাতিয়ার হচ্ছে কপিরাইট, ট্রেডমার্ক, পেটেন্ট ইত্যাদি।
আপনি যদি এইসব ব্যাপার না জেনে থাকেন তাহলে এইটুকু পড়েই আপনার বোর হয়ে যাবার কথা। কেননা সংক্ষিপ্ত পরিসরে যা বললাম আমি তা হচ্ছে খানিকটা নুন তেল ছাড়া মাংস রান্না করার মত ব্যাপার। শুধু মোটামুটি জেনে রাখুন Intellectual property ঠিক কী জিনিস। আরো গভীরভাবে নাহয় অন্য কোথাও আলোচনা করবো।
® চিহ্ন সম্পর্কে বলার আগে বলে নেই TM সম্পর্কে। TM মানে হচ্ছে ট্রেডমার্ক। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে স্যামসাং এর লোগো হচ্ছে ট্রেডমার্ক। আপনি যদি মোবাইল নির্মাতা হোন, তবে আর যাই লোগো ব্যবহার করুন না কেন ওই লোগো আপনি ব্যবহার করতে পারেন না। কেননা এই লোগো স্যামসাং এর মেধাসম্পদ। এইসব ট্রেডমার্ক সাধারণত কোনো প্রোডাক্টের পেছনে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল থেকে স্যামসাং তার মোবাইলকে আলাদা করে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করে এই ট্রেডমার্ক।
® ও একপ্রকার ট্রেডমার্ক যেখানে R মানে হচ্ছে Registered। যেসব ট্রেডমার্ক, ট্রেডমার্ক অফিসে নথিভুক্ত আছে অর্থাৎ ট্রেডমার্ক অফিস আবেদনকারীকে ওই ট্রেডমার্ক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সেইসব ট্রেডমার্কগুলোকে ® চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়। যেমন
দুলাল ভড়ের তালমিছরি। এটি ® চিহ্নযুক্ত। মানে এটি সরকারি অফিসে নথিভুক্ত আছে। এখন আপনার তালমিছরির বিজ্ঞাপনে আপনি ওই একই নাম ব্যবহার করতে পারবেন না।
যতক্ষন না সরকারিভাবে নথিভুক্ত হচ্ছে ততক্ষণ শুধু TM ব্যবহার করা যেতে পারে। এতক্ষন ট্রেডমার্ক নিয়ে বললেও সার্ভিস মার্ক বা SM বলেও একটা বস্তু আছে। ট্রেডমার্ক সাধারণত প্রোডাক্ট কে আলাদা করে দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয় আর সার্ভিস মার্ক সার্ভিস দেবার কোনো ব্র্যান্ড কে আলাদা করে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন ধরুন
এটা কিন্তু কোনো প্রোডাক্ট নয়। রেস্টুরেন্ট সার্ভিসকে বোঝায়। তাই এটি SM। এখন এই দুই TM এবং SM নথিভুক্ত হয়ে গেলে ® চিহ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে।
স্বল্প পরিসরে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। তাই কোনো জায়গায় বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্টে বলবেন। আমি বোঝানোর চেষ্টা করবো।
মৃতকে বাঁচিয়ে তুলতে পারবে কিনা - সেটি এখনো বলা যায় না। কারণ এই গবেষনার গবেষকরা মৃতকে বাঁচিয়ে তুলতে চাননি।
তাছাড়া মৃতের সংজ্ঞা কিন্তু পরিবর্তনশীল। আজকে আমরা যে অবস্থাকে মৃত বলে অভিহিত করছি,আগামী দিনে হয়তো সেটাকে স্রেফ একটা রোগ হিসেবেই ধরা হবে এবং তার চিকিৎসা করে লক্ষ লক্ষ মানুষকে বাঁচিয়ে তোলা সম্ভব হবে।
তবে একটা বিষয় জানিয়ে রাখি, “মস্তিষ্কের কোষ” কে জাগানো আর “মস্তিষ্ক” কে জাগানো - দুটো কিন্তু এক কথা নয়।
“মস্তিষ্কের কোষ” কে জাগাতে হলে তাদেরকে অক্সিজেন ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান সরবরাহ করতে হবে যাতে তারা শক্তি উৎপাদন করে নিজেদের জীবিত রাখতে পারে।
কিন্তু “মস্তিষ্ক” কে জাগাতে হলে মস্তিষ্কের কোষ নিউরনগুলোর সংযোগস্থল তথা সিন্যাপ্সে শক্তি সরবরাহ করে তাদের মধ্যে পুনরায় এমন একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হবে যাতে সেখানে “ইলেকট্রিক সিগন্যাল” উৎপন্ন হয়।
অর্থাৎ যখন মস্তিষ্কের কোন অঞ্চলের সমস্ত নিউরন পারস্পরিক একটা নেটওয়ার্ক তৈরি করে এবং সেখান থেকে ক্রমাগত বৈদ্যুতিক সংকেত উৎপন্ন হয় তখনই আমরা মস্তিষ্ককে জাগ্রত বলি। গবেষকরা উৎপন্ন এই সংকেতকে যাচাই করেই মস্তিষ্কের চেতনাবস্থা যাচাই করেন ।
তার মানে,নিউরনের জাগরণ ও মস্তিষ্কের জাগরনে পার্থক্য হল - “একটি সমন্বিত নেটওয়ার্ক”। মস্তিষ্কের জাগরনে যা আবশ্যকীয় কিন্তু কেবল নিউরনের জাগরনে যা একদমই অনাবশ্যকীয়।
সম্প্রতি 17 এপ্রিল প্রকাশিত গবেষণায় ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকরা কেবল নিউরনকে জাগাতে চেয়েছেন। কারণ মৃত মস্তিষ্কে অক্সিজেন ও পুষ্টি উপাদান সরবরাহের জন্য এর ভেতর দিয়ে রক্তের মতো যে তরল প্রবাহিত করা হয় তাতে তারা এমন একটি উপাদান মিশ্রিত করেন যা নিউরনগুলোকে “ইলেকট্রিক সংকেত” তথা “Consciousness” তৈরি করা থেকে বিরত রাখবে। শুধু তাই নয়, কোনোক্রমে যদি তারা এ সংকেত তৈরী করেও ফেলে তাহলেও তখন যাতে তাকে তৎক্ষণাৎ নিস্তেজ করে ফেলা যায় সেজন্য গবেষকরা পরীক্ষার সময় চেতনানাশক উপাদান হাতে নিয়ে প্রস্তুত হয়ে থাকেন। কারণ মস্তিষ্ক যদি তার চেতনা ফিরে পায় তাহলে তো তারা মৃত ও জীবিত এর মাঝখানে অবস্থান করবে,যা পরীক্ষণটির নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে এবং “ডেথ গাইড প্রটোকল” এর আইন ভঙ্গ করতে পারে ।
যদিও পরীক্ষাকালীন সময়ে তারা এরকম কোন সিগনাল তৈরি হতে দেখেন নি। তবে কিছু নিউরনকে তারা পুনরায় সক্রিয় করতে পেরেছেন,যেগুলো কিছু জটিল কাজ যেমন - শক্তি উৎপাদন করা, বর্জ্য নিষ্কাশন করা,মস্তিষ্কের অভ্যন্তরীণ গঠনকে মেইনটেইন করা - ইত্যাদি ফাংশন পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে।
কিন্তু ভবিষ্যতে কি এটা সম্ভব?
এখানে একটা প্রশ্ন জাগে,এই পরীক্ষণে যদি সেই “সিগন্যাল” তৈরিতে বাধাদানকারী পদার্থটি ব্যবহার করা না হতো তাহলে কি নিউরনগুলো সেই সিগন্যাল তৈরি করতে পারতো?
গবেষকরা বলছেন,হয়তো বা পারতো । কিন্তু স্বতঃস্ফূর্তভাবে যদি তারা না-ও পারতো, তাহলেও যদি তাদের মধ্যে একটা “ইলেক্ট্রিক শক” দেওয়া হতো তাহলে হয়ত তারা নিশ্চিতভাবে সেই সংকেত তৈরিতে উঠে-পড়ে লাগতো। ফলে আপাতঃ “মৃত” হতেও তখন ছলছল করা প্রাণ ঠিকরে বেরিয়ে পড়তো।
কিন্তু কবে?
এর উত্তর পেতে আমাদের তাকিয়ে থাকতে হবে ওই সামনেই, ওই আগামীর দিনগুলোতে।