একটা ছেলে ছিল যার খুব মেজাজ খারাপ হত। ছোট খাটো প্রত্যেকটা বিষয়ে সে রেগে যেত।
একদিন, তার বাবা তাকে পেরেকের একটি ব্যাগ দিয়ে বলল, "প্রতিবার যখন তোমার রাগ হবে, সামনের দেয়ালে একটি করে পেরেক ঠুকবে।"
এরপর ছেলেটি তার বাবার বুদ্ধিমত কাজ শুরু করে দিল।
প্রথম দিন, সে ৫০ টি পেরেক ঠুকল। পরের দিন, ৪০ টি।
প্রতিবার যখন সে পেরেক ঠুকতে যেত, রেগে যাওয়ার কারণে সে অনুতপ্ত হত—রাগের মধ্যে দেয়ালে পেরেক ঠোকা যেন একটা চ্যালেঞ্জ!
ধীরে ধীরে, ছেলেটা বুঝতে পারল যে দেয়ালে পেরেক ঠোকার চেয়ে বরং রাগ নিয়ন্ত্রণ করাটাই সহজ এবং তার ঠোকা পেরেকের সংখ্যা কমতে লাগল।
অবশেষে, একদিন সে আর একবার-ও রাগল না, এবং সে এর আনন্দ অনুভব করল।
এখন তার বাবা তাকে আরও একটি কাজ দিল, "তুমি যদি সারা দিনে একবার-ও রেগে না যাও তবে দেয়াল থেকে একটি করে পেরেক তুলে ফেলবে।"
বেশ কিছুদিন পরে, সে সমস্ত পেরেক উঠিয়ে ফেলল।
এবার তার বাবা তাকে দেয়ালের কাছে নিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল যে সে কী দেখতে পাচ্ছে?
ছেলেটি উত্তর দিল যে সে দেয়ালে অনেকগুলো গর্ত দেখতে পাচ্ছে।
তারপর তার বাবা বলল, "এই গর্তগুলি এমন সব ক্ষতচিহ্নের মতো যা তুমি রাগের সময় অন্যদেরকে দিয়ে ফেল। এরপর তুমি যতবারই দুঃখ প্রকাশ কর না কেন, দাগ কিছুতেই উঠে না।"
আমি তাই আপনাকে দুটি জিনিস প্রস্তাব করব :
- একবার বলে ফেলা কথা আর ফিরিয়ে আনা যায় না। আপনার রাগ অন্যকে কষ্ট দেয় এবং একটি জ্বালাময় ছাপ ফেলে যা চিরকাল স্থায়ী হয়।
- যখনি আপনার রাগ হবে, "একটি পেরেক ঠুকবেন।"
খুব সহজ কাজ যা আপনি করতে পারেন একটা ছোট্ট পকেট ডায়েরি সাথে রাখা। প্রতিবার যখন আপনার রাগ হবে, ডায়েরিতে একটি করে লাইন লিখবেন।
তারপর রাতের বেলা গুনে দেখবেন সেদিনে কতটা লাইন লিখলেন। আপনি যদি এটিকে একটি অভ্যাস বানিয়ে ফেলেন তবে প্রতিবার যখন আপনার রাগ হবে তখন প্রতিবার আপনার সেটা নোট করে রাখার কথা মনে পড়বে।
পরোক্ষভাবে, আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার রাগ হচ্ছে। আর যেহেতু এখন আপনি অবগত এবং সচেতন আছেন, আপনার পদক্ষেপগুলি নিয়ন্ত্রণ করা এবং রাগ বশীভূত করা আপনার পক্ষে সহজ হয়ে যাবে।
আশা করব—সেই দিনটি খুব শীঘ্রই আসুক যেদিন আপনার ডায়েরিতে একটাও লাইন লিখতে হবে না।
No comments:
Post a Comment