অনুসরণকারী best

Translate

Followers

Showing posts with label friend. Show all posts
Showing posts with label friend. Show all posts

04/08/2020

ধর্মের ব্যাখ্যা যদি বাদ দিই তবে মানুষ কোথা থেকে এসেছে-এই ব্যাপারটি কি আজীবন রহস্যই থেকে যাবে নাকি বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে একটা কুল কিনারা বের করতে সমর্থ হবে?

প্রশ্নকর্তা বোধহয় বিজ্ঞানের বিষয়ে একেবারেই খোঁজখবর রাখেন না কারণ মানুষের আসার ব্যাপারটা আজ আর কোনো রহস্য তো নয়ই, বরং একটা স্কুলপড়ুয়া বাচ্চাও আপনাকে বলতে দিতে পারে মানুষ কোথা থেকে এসেছে |

আপনি যদি প্রশ্নটা করবার আগে একবার গুগলকেও জিজ্ঞেস করতেন, তাহলেও এই প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যেতেন; আমিই আপনার হয়ে করে দিলাম সেটা আর এই লিঙ্কটা ধরুন: Human evolution

যদি উইকিপিডিয়ার লিংক মনে না ধরে, তাহলে এইটাও দেখতে পারেন: Introduction to Human Evolution

আর হ্যাঁ, অনুগ্রহ করে লিখতে বসবেন না যে বিবর্তন একটা 'কল্পিত ধারণা' মাত্র | বিজ্ঞানটা ধর্ম নয়; এখানে প্রমাণ ছাড়া কোনো কাজ-কারবার হয় না আর প্রমাণ ব্যতীত কোনো তত্ত্বেরই ঠাঁই নেই এখানে | যারা এটা বোঝে না তারা আর যাই বুঝুক, বিজ্ঞানটা বোঝে না |

আর চিন্তা নেই, বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আপনাকে বিশ্বাস করতে বলা হবে না; বরং সন্দেহই করবেন আর প্রশ্নের উত্তর খুঁজবেন | এটাই বিজ্ঞানের নীতি 

®,© ও ™ দ্বারা কি বোঝায়?

সাধারণ মানুষ হিসেবে আকছার এইসব চিহ্ন দেখতে পাই কিন্তু ঠিক বুঝি না কী জিনিস এগুলো। বিজ্ঞাপনে দেখানো হয়, "এই চিহ্ন দেখে তবেই কিনবেন"। কিন্তু খুব কম ক্ষেত্রেই আমরা জানার চেষ্টা করি এগুলো কী জিনিস। আজ তাই সময় এসেছে এগুলো সম্পর্কে জানার।

এই বিষয়ে যাবার আগে জানতে হবে Intellectual Property বা মেধাসম্পদ কী জিনিস। সাধারণ ভাবে যদি বোঝার চেষ্টা করি তাহলে বলা যেতে পারে, যেসব সম্পদ মানুষের intellect বা বুদ্ধি থেকে আসে তাকেই বলা হয় Intellectual Property। এইসব সম্পত্তি আমাদের বাস্তব জীবনে ব্যবহৃত সম্পদের মত নয় যাকে ইংরেজিতে বলা হয় intangible। মানে ধরুন আপনার কাছে একটা পেন আছে। ওটা অবশ্যই আপনার সম্পত্তি। এবার ধরুন ওই পেন দিয়ে একটা একটা গল্প লিখলেন। তো এই গল্প কী আপনার সম্পত্তি? আপনি বলবেন, হ্যাঁ। কারণ ওটা আপনি আপনার মেধা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন। সেই হিসেবে ওটা আপনার সম্পত্তি। আর এই "গল্প"টা হলো Intellectual Property বা মেধাসম্পদ।

সব মেধাসম্পদ আবার একই গোত্রীয় নয়। মানে আপনার "আঁকা ছবি"ও মেধাসম্পদ আবার ধরুন "কোনো উৎকৃষ্ট খাবার তৈরির পদ্ধতি" সেটাও একরকমের মেধাসম্পদ। কিন্তু দুটো একরকমের নয়। বিভিন্ন রকমের মেধাসম্পদ আছে আমাদের চারপাশে। তারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো কপিরাইট, পেটেন্ট, ট্রেডমার্ক ইত্যাদি। এগুলোকে মেধাসম্পদ বলার থেকে বলা ভালো," আপনার মেধাসম্পদ যে আপনার", সেটা রক্ষা করার হাতিয়ার হচ্ছে কপিরাইট, ট্রেডমার্ক, পেটেন্ট ইত্যাদি।

আপনি যদি এইসব ব্যাপার না জেনে থাকেন তাহলে এইটুকু পড়েই আপনার বোর হয়ে যাবার কথা। কেননা সংক্ষিপ্ত পরিসরে যা বললাম আমি তা হচ্ছে খানিকটা নুন তেল ছাড়া মাংস রান্না করার মত ব্যাপার। শুধু মোটামুটি জেনে রাখুন Intellectual property ঠিক কী জিনিস। আরো গভীরভাবে নাহয় অন্য কোথাও আলোচনা করবো।

এবার আসা যাক প্রশ্নের উত্তরে। © এই চিহ্নটা কপিরাইট বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। মানে ধরুন আপনি ছবি আঁকলেন, গান তৈরি করলেন, ভিডিও বানালেন, বই লিখলেন -এসবই কপিরাইটের আওতায় পড়ে। আপনি যদি কপিরাইট হোল্ডার হোন তাহলে অন্য কেউ যদি আপনার তৈরি ওইসব জিনিস নিয়ে ব্যবসা শুরু করে আপনারই অনুমতি ছাড়া তবে আপনি কপিরাইটের দৌলতে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারেন।

® চিহ্ন সম্পর্কে বলার আগে বলে নেই TM সম্পর্কে। TM মানে হচ্ছে ট্রেডমার্ক। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে স্যামসাং এর লোগো হচ্ছে ট্রেডমার্ক। আপনি যদি মোবাইল নির্মাতা হোন, তবে আর যাই লোগো ব্যবহার করুন না কেন ওই লোগো আপনি ব্যবহার করতে পারেন না। কেননা এই লোগো স্যামসাং এর মেধাসম্পদ। এইসব ট্রেডমার্ক সাধারণত কোনো প্রোডাক্টের পেছনে ব্যবহৃত হয়। এক্ষেত্রে বিভিন্ন কোম্পানির মোবাইল থেকে স্যামসাং তার মোবাইলকে আলাদা করে বোঝানোর জন্য ব্যবহার করে এই ট্রেডমার্ক।

® ও একপ্রকার ট্রেডমার্ক যেখানে R মানে হচ্ছে Registered। যেসব ট্রেডমার্ক, ট্রেডমার্ক অফিসে নথিভুক্ত আছে অর্থাৎ ট্রেডমার্ক অফিস আবেদনকারীকে ওই ট্রেডমার্ক ব্যবহারের অনুমতি দিয়েছে সেইসব ট্রেডমার্কগুলোকে ® চিহ্ন দিয়ে বোঝানো হয়। যেমন

দুলাল ভড়ের তালমিছরি। এটি ® চিহ্নযুক্ত। মানে এটি সরকারি অফিসে নথিভুক্ত আছে। এখন আপনার তালমিছরির বিজ্ঞাপনে আপনি ওই একই নাম ব্যবহার করতে পারবেন না।

যতক্ষন না সরকারিভাবে নথিভুক্ত হচ্ছে ততক্ষণ শুধু TM ব্যবহার করা যেতে পারে। এতক্ষন ট্রেডমার্ক নিয়ে বললেও সার্ভিস মার্ক বা SM বলেও একটা বস্তু আছে। ট্রেডমার্ক সাধারণত প্রোডাক্ট কে আলাদা করে দেখানোর জন্য ব্যবহৃত হয় আর সার্ভিস মার্ক সার্ভিস দেবার কোনো ব্র্যান্ড কে আলাদা করে বোঝাতে ব্যবহৃত হয়। যেমন ধরুন

এটা কিন্তু কোনো প্রোডাক্ট নয়। রেস্টুরেন্ট সার্ভিসকে বোঝায়। তাই এটি SM। এখন এই দুই TM এবং SM নথিভুক্ত হয়ে গেলে ® চিহ্ন ব্যবহার করা যেতে পারে।

স্বল্প পরিসরে বোঝানোর চেষ্টা করলাম। তাই কোনো জায়গায় বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্টে বলবেন। আমি বোঝানোর চেষ্টা করবো।

ধন্যবাদান্তে,  Mohammad Accessories

বাঙালি হয়ে রেস্তোরাঁয় চামচ বা কাঁটাচামচ দিয়ে খাওয়ার অনুভূতি কেমন?

সেই অনুভূতির কথা আর কি বলব ? নাকানিচোবানি অনুভূতি।

ছোটবেলায় রেস্তোরাঁতে খাওয়া মানেই এক প্লেট রসগোল্লা আর সিঙারা। রসগোল্লার রস লাগিয়ে লাগিয়ে সিঙারা খাওয়া । সাথে একখানা চামচ দিত বটে …তবে বেশীরভাগ সময়ই সেটা নীচে মেঝেতে গড়াগড়ি খেতো নয়তো মা চামচটা সরিয়ে রাখতেন। আর কাঁটাচামচওয়ালা রেস্তোরাঁ আমাদের শিলচরে তখন ছিলই না।

কলেজে ওঠার পর শিলচরে একটা রেস্তোরাঁ খুললো..স্যান্ডঅফ। ওওওও বাবা কি সুন্দর ..হালকা করে গানও বাজে। টেবিলের ওপরে ওপরে লাইট ঝোলানো। বন্ধুরা মিলে গেলাম। কাটলেট অর্ডার করা হলো। কাটলেটে একটা মুরগীর ঠ্যাঙ গুঁজে দিল দেখলাম আর প্লেটে একটা ছুরি আর কাঁটাচামচ। কিছু বন্ধু অলরেডি কাঁটাচামচ দিয়ে খেয়ে এসেছে কোলকাতা থেকে। সুতরাং ওরা এখন বিরাট হনু। দেখলাম স্মার্টলি কুচকুচ করে কাটলেট কাটছে আর কাঁটাচামচ দিয়ে খাচ্ছে। আমি দুটোই হাতে নিলাম। ছুরি চালালাম কাটলেটের বুকে। কিছুতেই কাটেনা। বন্ধুদের বলালাম…দেখ কেমন ভোঁতা ছুরি? কাটবে কি করে ? আমার পাকেশ্বরী বন্ধু ফিক করে হেসে বলল …তুই কি গাউয়া রে !! ইটা ঐতা ছুরি না তো। ইটা হইল গিয়া নাইফ..ভুঁতাই থাকে। শুনে আমি একটু দমে গেলাম। সিনেমা টিনেমাতে কাঁটা ছুরি দিয়ে খাওয়া দেখেছি কিন্তু তখন কেন যে একটু খেয়াল করে দেখিনি। যাইহোক আমার ছুরিকাঘাতে কাটলেট প্রায় গুঁড়ো হবার জোগাড়। কাঁটাচামচ দিয়ে খোঁচা মেরে তোলার মতো অবস্থা আর কাটলেটের নেই। তারপর এদিক ওদিক তাকিয়ে হাত দিয়েই খাওয়া সারলাম। তবে আমি একা নই ..বিভিন্ন টেবিলে অনেকেরই আমার অবস্থা দেখে বুকে বল এলো। পরের দিকে মুরগীর ঠ্যাঙটা ধরেই কাটলেট খেতাম আর রেস্তোরাঁর মালিককে বলতাম…কাকু, কাটলেটের সাথে কাঁটাচামচ ছুরি দেন কেন ? ঠ্যাঙটা ধরেই তো বেশ খাওয়া যায়। কাকু মুখ গোমড়া করে বলতেন…হইসে, আর উপদেশ দিতে লাগত না। তাড়াতাড়ি খাইয়া টেবিল খালি কর। বাইরে লাইন দেখছ নি ?

যেদিন বাড়ীতে প্রথম চাউচাউ ( নুডলস ) বানানো হল সেদিন সে কি উত্তেজনা ! মাও বানাচ্ছেন। খেতে বসে চামচ দিয়ে তো আর তুলতে পারিনা। পিছলে পিছলে প্লেটেই গিয়ে পড়ে । অনেক যুদ্ধের পর মা বললেন ..চ' আমরা হাত দিয়েই খাই। হাত দিয়ে ফার্স্ট ক্লাস খেলাম। আমাদের বাড়ীতে তখন কাঁটাচামচ ছিল না। আমার মনে হয় মায়ের বাড়ীতে এখনও নেই ।

বিয়ের পর স্বামী আমাকে কাঁটাচামচ ছুরি ধরা শিখিয়েছে । ওদের অফিসের এক গেট টুগেদারে গিয়ে আমার হিমশিম অবস্থা দেখে কানে কানে এসে বলল..হাত দিয়ে খাও, কিচ্ছু হবে না। কিন্তু আমার লজ্জা লাগছিল। বাকী বৌগুলো কি সুন্দর টুকটুক করে খাচ্ছে আর পুরকীর বৌ কিনা হাত দিয়ে খাবে ? কোনমতেই না। যা খাবো চামচ কাঁটাচামচ দিয়েই খাবো। পেট না ভরলে না ভরুক। পেট ভরে নি কিন্তু যতক্ষণ ডাইনিং টেবিলে ছিলাম কাঁটাচামচটাকে আঁকড়ে ধরেই বসে ছিলাম। বাড়ী ফেরার পর স্বামী শেখালো..কোন হাতে কোনটা ধরতে হয়, কি করে তুলতে হয় । কাঁটাচামচ দিয়ে সোজা তুলতে হয় না..চামচটাকে উল্টে ধরে তুলে মুখে দিতে হয়। খাওয়া শেষে কাঁটা, ছুরি, চামচ কেমন করে রাখতে হয়। ( আমার এখনও শিখে ওঠা হয়নি যদিও। 😀)

এখন তো সব শিখে গেছি কিন্তু সব কিছু হাত দিয়ে খেতেই পছন্দ করি। নুডলস ছাড়া সব কিছু আমি হাত দিয়ে খাই। তবে এসব দিয়ে খেতে আমাকে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। কত জায়গায় যে কাঁটাচামচ ছিটকে পড়েছে, ছুরি দিয়ে কাটতে গিয়ে প্লেট উল্টে গেছে। রেস্তোরাঁর বেয়ারা অব্দি বলেছে.." ম্যাডাম, এগুলো সব রান্না করা জিনিস..কাঁচা নয়। অত গায়ের জোরে কাটতে যাবেন না। হালকা একটা টান মারুন। " কি আর বলবো ওকে ? বাড়ীতে লাউকুমড়ো কাটতে কাটত এরকমই অভ্যাস হয়ে গেছে। আজকাল লোকে তো দেখি বাইরে গিয়ে ডাল ভাতও চামচ দিয়ে খায়। খাক গে..আমার হাত জিন্দাবাদ ।

আপনার সম্পর্কে এমন কি আকর্ষণীয় ঘটনা আছে যা অন্য কেউ জানে না?

কেউ জানেনা এমন উত্তর কেউ হয়তো কোরাতে পাবলিকলি জানাবেনা।আপনি বরং আকর্ষণীয় ঘটনা জানতে পারেন।

আমরা যখন অনার্স সেকেন্ড ইয়ারে তখন বনলতা(রূপক নাম) নামে রূপবতী এক ম্যাম খন্ডকালের জন্য ক্যাম্পাসে আসেন।তিনি আমাদের ৪ বছরের সিনিয়র ছিলেন।জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ বার প্রথম হওয়ায় আর আমাদের এখানে মাস্টার্স করার সুবাদে তিনি ৩ বছর এখানে থেকে পরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে চলে যান।

রীতিমত কেউ কেউ তার জন্য কবিতা লিখতেন।তার ক্লাসের সময় ক্লাসের অমনোযোগী ছাত্রটাকেও বড্ড মনোযোগী দেখাতো। তিনি বোঝানোর সময় স্বাভাবিকত কেউ পলক ফেলতো না।মেনে নিতেই হবে তিনি উপরওয়ালার সৃষ্ট চোখ ধাঁধানো জীব।কে ম্যামকে কতো বেশী ভালোবাসেন এটা যেন ক্লাসের ফ্যাশনে পরিণত হয়ে গিয়েছিলো।

ফটো:ধরুন এটা বনলতার কল্পিত কোনো ছবি।তার সম্মানার্থে তার নিজের ছবি প্রকাশ করলাম না…

দুর্ভাগ্য আমিসহ গুটিকতেক হতভাগার যাদেরকে বারবার প্রশ্ন করে হিমশিম খাইয়ে দেবার জন্য আর পিছন থেকে হো হো করে হেসে বিরক্ত করবার জন্য প্রথম ক্লাসেই ম্যাম বের করে দেন ।যদিও এই বখাটেপনা আমরা সকল নতুন ক্লাসেই করে থাকি।ম্যাডাম ঠিক আমাদের মেনশন করে রেখেছিলেন বলির পাঠা করার জন্য।পরের ক্লাসে জাস্ট কাশি দেবার মতো প্রাকৃতিক বিষয়েও বাইরে বের করে দেন।ব্যাপারটা তখন চিন্তায় পরিণত হয়।অবিকল তৃতীয় ক্লাসেও অংক করতে দিয়ে কেবল আমাদের খাতাই চেক করেন এবং বের করে দেন।

তারপরের ক্লাস টেস্টে তিনি কেবল আমাদেরকেই গার্ড দেন এবং সে পরীক্ষায় আমরা কেউই ৪/৫ (out of 20)এর বেশী পাইনি ।সামনে ফাইনাল পরীক্ষা থাকায় বিষয়টা আমাদেরকে ভাবিয়ে তোলে-যদি কোনো পরীক্ষায় ম্যাম গার্ড দেন তবে কি হবে!!

ইতিমধ্যে বেসিক(ছদ্মনাম) নামক এক বন্ধুর মারফতে জানতে পারি ম্যামের সাব্বির নামক তারই এক ব্যাচমেট যিনি জাহাঙ্গীরনগরের ম্যাথের টিচার যার সাথে দীর্ঘদিন প্রণয় থাকার পর ব্রেকআপ হয়ে গেছে এবং সাব্বির স্যার সদ্য বিয়ে করে ছুটি থেকে এসেছেন। এই ব্যাপারটি পরদিন ক্লাসের টক অব দ্যা ডে।এখন ম্যাম জাস্ট আমাদের দেখতে পারেন না, দয়া এতোটুকুই যে তিনি এখন আর ক্লাস থেকে বের করে দেন না।

পরীক্ষার দিন পনেরো আগে ,চায়ের আড্ডায় জয় ধর নামের এক চাটগাঁইয়া বন্ধু বিড়ি খেতে খেতে একটা ইফেক্টিভ আইডিয়া বের করে।

আমরা যদি ম্যাডামের জন্য একটা যোগ্য পাত্রের সন্ধান করি আর তা তাকে জানাই তাহলে আমাদের সাথে তার একটা সুসম্পর্ক সৃষ্টি হতে পারে।

আইডিয়াটা আমাদের পাঁচজনের ভালো লাগলেও বিড়ালের গলায় ঘন্টা কে বাধবে এখানে একটা কিন্তু থেকে গেলো যেহেতু আমাদের হাতে কোনো পাত্র নেই এবং ব্যাপারটা পুরোপুরি মিথ্যের উপর ভিত্তি করে করা হচ্ছে।প্রয়োজনের তাগিদে আমাদের ভিতরে তিনজনকে রেডি করা হলো এবং বাকি দুজন সহায়ক ভুমিকা পালনে রাজী হলো।সেই পদক্ষেপ ছিলো নিন্মরূপ:——

একদিন দুপুরে লাঞ্চের পর ম্যাডামকে একা পেয়ে আমরা দুজন রুমে ঢুকি আর একজন দরজায়।বাকি দুজন বারান্দায়।

ম্যাম:কি খবর? কি চাই?

আমি: ম্যাম একটু আর্জেন্ট কথা ছিলো।

ম্যাম:(অন্যদিকে তাকিয়ে)বলে ফেলো।

জয়:ম্যাম আমাদের এক বড়ভাই বিয়ের জন্য মেয়ে খুঁজছে ।একটা ম্যাচিউর বউ চায় আর আমরা আপনার ছবি তাকে পাঠিয়েছি।

ম্যাম:(একটু আগ্রহ নিয়ে)কি বলো এসব!কি করে ছেলে?

আমি :মেরিন ইঞ্জিনিয়ার ম্যাম।এসএসসি ২০০২ এর ব্যাচ।

ম্যাম:তোমরা কি করে বুঝলে সে আমায় পছন্দ করবে?

জয়: ম্যাম আপনি যে ধরনের সুইট,যা কিউট তাতে কারো চোখ ফিরবেনা বিশ্বাস।

ম্যাম:(লাজুক চোখে)আল্লাহ! কি যে বলো তোমরা। (চেয়ার দুলিয়ে মশকারি ভঙ্গিমায়)মেরিনতো আমার তেমন পছন্দ না তবুও——।বাসা থেকেও ছেলে দেখছে ,,,বুঝলা!!!

কিন্তু ম্যাডামের পছন্দ না বলার ভিতরে ছিলো হাজারো আগ্রহের প্রকাশ তা আমরা ধরে ফেলেছিলাম।

আমরা:আচ্ছা ম্যাম, ভাইয়াকে বলে জানাবো।

কথা না বাড়িয়ে বের হয়ে আসি।ভাগ্যবশত আমাদের হাতে কোনো পাত্র ছিলোনা। ম্যাম দেখা করতে চাইলে আরও বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।

আমাদের উদ্দেশ্য ছিলো ইয়ার ফাইনালে তার সহানুভূতি যা তিনি সর্বাত্মক চেষ্টা করেছেন।আমরাও রাজার হালে পরীক্ষা দিয়েছি।আমরা জানতাম আমরা নিজে থেকে না বললে, লজ্জা ভেঙে ম্যাম কখনোই আমাদেরকে তার বিয়ের ব্যাপারে বলতে পারবেনা।

পরীক্ষার হলে আমাদের সাথে ম্যামের শখ্যতা ছিলো চোখে পড়ার মতো।বাকী সবাই অবাক হতো।সেবছর আমাদের সিজিপিএ ছিলো কুরবানির গরুর মতো রমরমা।

আমরা পুনরায় বিয়ের কথা বলবো সেই আশায় ম্যামের ধৈর্য যখন শেষ হলো ততোদিনে আমাদের থার্ড ইয়ার চলে আসলো।এই ইয়ারে ম্যামের আর ক্লাস নেই এবং ম্যামেরও মাস ছয়েক পরে বিয়ে হয়ে গেলো।ম্যাম বুঝতে পারলো এটা সাজানো নাটক ছিলো। একটা বার আমাদেরকে সাইজের জন্যে সে মুখিয়ে ছিলো ।

হায় কপাল! থার্ড ইয়ার ফাইনালের প্রথম পরীক্ষাতেই ম্যামের গার্ড। গতবারের তেল এবছর জেল হয়ে গড়ালো।কোনোমতে সেই সাবজেক্টে ৪০ পেয়েছিলাম। কতটা ভয়ানক তিনি হতে পারেন তা সেদিন দেখিয়েছিলেন।আমি নিজেও পরীক্ষার হলে নাভিশ্বাস্বের উপক্রম।

.

.

.

.

এখন ম্যামের একটা মেয়ে হয়েছে খুব ফুটফুটে।দাওয়াত ছারাই আমরা পাঁচজন গিয়েছিলাম মেয়েটার জন্মদিনে।বিশাল একটা গিফট নিয়েছিলাম।ম্যামের মন ভরে গেছিলো।

ম্যাম এখন বুঝেছে আমরা বখাটেরাই তাকে প্রকৃত ভালোটা বেসেছিলাম।জাহাঙ্গীরনগর আসার পর ক্লাসের আর কেউ তার খোঁজ নেয়নি সে কথাতেই বোঝা গেলো মনের আকুতিটুকু।

বেচে থাকুক ম্যামের প্রতি ভালোবাসা।আজীবন, অনন্তকাল।

ফেসবুকটি বিনামূল্যে নয়

Welcome our bloge   ফেসবুকটি বিনামূল্যে নয়  আমাদের ব্লগa স্বাগতম   ফেসবুক নিখরচায় নয় ইন্টারনেটের অনেকাংশের অর্থনীতি দুটি মূল্যবান সামগ্রী...

Search This Blog

Labels