মানুষের চাঁদে যাওয়া নিয়ে সন্দেহের কোন অবকাশই নাই। মানুষ একবার চাঁদে যায় নাই, ছয়বার চাঁদের মাটিতে পা রেখেছে। অ্যাপোলো-১১ তে প্রায় চার লাখ মানুষ কাজ করতো। সবার সামনে দিয়ে নভোচারীরা স্পেসশিপে উঠল। অ্যাপোলো ১১ যখন পৃথিবী ছেড়ে গেল তখন তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়নের রাডারে বিষয়টা প্রথম ধরা পড়ল। পৃথিবীর সমস্ত মহাকাশ গবেষণাগারের মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু ছিলো অ্যাপোলো ১১। মহাকাশচারীরা জানতো পৃথিবীর মানুষ অনেকেই তাদের অভিযান নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করবে। তাই তারা সাথে করে রেট্রোরিফ্লেক্টর নিয়ে গিয়েছিলো। রেট্রোরিফ্লেক্টর হচ্ছে এক ধরণের আয়না যার দিকে আলো নিক্ষেপ করলে তা আলোর উৎস বরাবর প্রতিফলন করে। রেট্রোরিফ্লেক্টর বসানোর প্রায় সাথে সাথে ফ্রান্সের মহাকাশ গবেষণাকারীরা লেজার নিক্ষেপ করে প্রতিফলন পেলেন। চাঁদে যাওয়া নিয়ে যে সন্দেহগুলো করা হয় এইগুলো ষড়যন্ত্রতত্ত্ব। এখনো পর্যন্ত যতগুলো বৈজ্ঞানিক নীরিক্ষামূলক প্রমাণ পাওয়া গেছে তা সন্দেহাতীতভাবে চন্দ্রাভিযানের সত্যতা প্রমাণ করে। ষড়যন্ত্রতত্ত্বের সবগুলো প্রশ্নের উত্তর নাসা অনেক আগেই দিয়ে দিয়েছে। তার চেয়ে বড় বিষয় চন্দ্রাভিযান নিয়ে সন্দেহ কোন বিজ্ঞানী করে না, বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বিজ্ঞান সম্পর্কে কম জানা, ন্যুনতম ক্রিটিকাল থিংকিং না করতে পারা মানুষরা করে।
মানুষ গত প্রায় ৫০ বছর ধরে চাঁদে মানুষ পাঠাচ্ছে না কারণ চাঁদে এই নিয়ে ছয়বার মানুষ গিয়ে অনেক পাথর নিয়ে এসেছে। ওই শিলা নিয়ে পৃথিবীর বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণা হচ্ছে। চাঁদে যাওয়া অনেক খরচসাপেক্ষ এবং চাঁদ নিয়ে মানুষের এখন অনেকটা জানা হয়ে গেছে - তাই নাসা অন্যান্য খাতে এখন খরচ করছে। তবে মহাকাশ যাত্রায় ভারত প্রায় নবাগত হওয়ায় ভারতের জন্য চাঁদে যেতে পারাটা মহাকাশ গবেষনায় ভারতের সক্ষমতা অনেক বাড়াবে। হয়তো ভারতও চাঁদে কয়েকবার অভিযানের পর মঙ্গল বা অন্য কোন গ্রহের দিকে মনোযোগ দিবে। তখন হয়তো ভারতও আর চাঁদে যাবে না।
No comments:
Post a Comment