অংশ ১ঃ ব্রেইনের মেমোরি ধারণ ক্ষমতা কমপক্ষে ২ দশমিক ৫ পেটাবাইট অথবা ১ মিলিয়ন জিবি বা ১০ লাখ গিগাবাইট[1]।
অন্তত ৩৪২ বছর লাগবে এই মেমোরি কার্ড পূর্ণ হতে। এব্যাপারে অধ্যাপক পল রেবর উল্লেখ করেছেন, ব্রেইন যদি কোন সর্বাধুনিক ডিজিটাল ভিডিও রেকর্ডারের মত মেমোরি ধারণ করে তাহলে সেই মেমোরি যদি কোন টিভিতে অবিরাম সম্প্রচার করা হয় তাহলে ৩ শতাধিক বছর লাগবে তা প্রচার করতে। — (মোড়ল নজরুল ইসলাম, ইত্তেফাক, স্রষ্টার বিস্ময়কর সৃষ্টিমস্তিষ্কের মেমোরি ক্ষমতা ১০ লাখ গিগাবাইট, ৭ নভেম্বর ২০১৪) [2]
অংশ ২ঃ- বিজ্ঞানীরা আজও মানুষের ব্রেনের ক্যাপাসিটি বা ধারণক্ষমতা নির্ণয় করতে সক্ষম হননি। তবে বিজ্ঞানীরা বলছেন, আপনি যদি ৩০ লাখ ঘণ্টা বা ৩৪২ বছর একনাগাড়ে মস্তিষ্কের মেমোরি কার্ডে সারাক্ষণ ভিডিও ধারণ করেন, তাতেও আপনার মস্তিষ্ক নামের সুপার কম্পিউটারের মেমোরি স্পেস পূরণ হবে না। মস্তিষ্কের মেমোরি স্পেস নিয়ে গবেষণা তথ্যে নর্থ ওয়েস্টার্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাইকোলজির অধ্যাপক ড. পল রেবার উল্লেখ করেছেন, মানুষের মস্তিষ্কে রয়েছে ১০০ কোটি বা এক বিলিয়ন নিউরন। প্রতিটি নিউরন একে অপরের সঙ্গে গড়ে তুলেছে ১ হাজার সংযোগ, যার গাণিতিক সংখ্যা হবে এক ট্রিলিয়নের বেশি। বিজ্ঞানীরা বলছেন, যদি প্রতিটি নিউরন একটি করে মেমোরি ধারণ করে তা হলেও কারও জীবদ্দশায় কখনও মেমোরি স্পেস শেষ হবে না। বরং এক একটা নিউরন অসংখ্য মেমোরি ধারণ করতে সক্ষম।—(যুগান্তর, মানুষের মাথায় মেমোরি কত জিবি, জানেন কি?, ১৬ এপ্রিল ২০১৯) [3]
অংশ ৩ঃ- ব্রিটানিকা এনসাইক্লোপিডিয়ার মতে, মানুষের মস্তিষ্ক অনেক তথ্য একসাথে প্রায় ৫ বার মনে রাখতে পারে। বিজ্ঞানীদের মতে, মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা ৩ থেকে ১০০০ টেরাবাইট পর্যন্ত থাকে। ব্রিটেন এর জাতীয় আর্কাইভস এ গত ৯০০ বছরের ইতিহাস লিপিবদ্ধ করা আছে। যার সম্পূর্ণটা যদি আপনি জানতে চান, তা আপনার মস্তিষ্কের ৭০ টেরাবাইট যায়গা নিবে। —( bdlive24, মানুষের ব্রেইন সম্পর্কে ১০টি মজাদার তথ্য, ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৫) [4]
অংশ ৪ঃ-
মস্তিষ্কের কিছু অজানা মজার তথ্য–
মাত্র ৫ থেকে ১০ মিনিট অক্সিজেন সরবরাহ বন্ধ থাকলে মস্তিষ্ক স্থায়ী ভাবে নষ্ট হয়ে যায় বিজ্ঞানীরা অতি সাম্প্রতি দাবি করেছেন। ব্যক্তিভেদে ৪৯ বৎসর বয়স পর্যন্ত মস্তিকের বিকাশ হয়। যুদ্ধের সময় সৈন্যরা মস্তিষ্কে যেরকম চাপ অনুভব করেন, কলহপূর্ণ পরিবারে একটি শিশু মস্তিষ্কে অনুরুপ চাপ অনুভব করে। ভুলে যাওয়া মস্তিষ্কের জন্য ইতিবাচকঃ কেননা, অপ্রয়োজনীয় তথ্য মুছে ফেলে স্নায়ুবিক প্রক্রিয়া মস্তিষ্কের নমনীয়তা (প্লাস্টিসিটি) ধরে রাখে। মস্তিষ্ক প্রত্যাখ্যান কে শারীরিক বেদনা মতই বিবেচনা করে।পুরুষদের মস্তিষ্ক মহিলাদের মস্তিষ্কের তুলনায় গড়ে ৮ – ১৩% পর্যন্ত বড় হয়ে থাকে। মানব মস্তিষ্ক ১০০ বিলিয়ন নিউরন এবং ১ ট্রিলিয়ন গিলিয়া কোষ দিয়ে তৈরি । আপনি যখন নতুন কিছু শেখেন তখনই মস্তিষ্কের গঠনের পরিবর্তন হয়। আইনস্টাইনের মৃত্যুরপর তার ময়নাতদন্তকারি প্যাথলজিস্ট তার মস্তিষ্ক চুরি করে একটি জারে ২০ বৎসর যাবত সংরক্ষণ করেন। আপনার মস্তিষ্কে দিনে প্রায় ৭০,০০০ চিন্তার উদয় হয় অন্যভাবে বলা যায়, একজন মানুষের মাথায় দিনে প্রায় ৭০,০০০ চিন্তা আসে। আমাদের মস্তিষ্কের ধারণ ক্ষমতা এতটাই পর্যাপ্ত যে, তাতে প্রায় ৩ মিলিয়ন ঘণ্টা ভিডিও ধারণ করে রাখা সম্ভব। চোখে কোন আলো পড়লে তা মস্তিষ্কে পৌছাতে সময় লাগে ০.২ সেকেন্ড। — (Bangladesh Psychologist, মস্তিষ্কের ক্ষমতা, ২২ জুলাই ২০১৯)[5]
ফুটনোটগুলি
No comments:
Post a Comment