অনুসরণকারী best

Translate

Followers

Showing posts with label ব্যথা. Show all posts
Showing posts with label ব্যথা. Show all posts

04/08/2020

কোমর ব্যথার কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার

কোমর ব্যথার কারণ, লক্ষণ এবং প্রতিকার


এমন মানুষ হয়ত পৃথিবীতে পাবেন না যিনি তার জীবনে একবারও কোমরে 
ব্যথা অনুভব করেননি।
 মেরুদণ্ডের নিচের হাড়ের মধ্যবর্তী তরুণাস্থি বা ডিস্কের বার্ধক্যজনিত পরিবর্তনের ফলে 
এ ব্যথার সুত্রপাত হয়।
 তরুণাস্থির এই পরিবর্তনের সাথে সাথে মেরুদণ্ডের নিচের দিকে সংবেদনশীলতার
 পরিবর্তন হয়। 
সাধারণত এ পরিবর্তন ৩০ বছর বয়স থেকে শুরু হয়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এ রোগের
 কোনো উপসর্গ থাকে না।
 তবে বয়স বাড়ার সাথে সাথে রোগের উপসর্গও বাড়তে থাকে।







কোমর ব্যথার কারণ
সাধারণত দেখা যায় মেরুদণ্ডের মাংসপেশি, লিগামেন্ট মচকানো বা
 আংশিক ছিঁড়ে যাওয়া, 
দুই কশেরুকার মধ্যবর্তী ডিস্ক সমস্যা, কশেরুকার অবস্থান পরিবর্তনের
 কারণে কোমর ব্যথা হয়ে থাকে। 
চলাফেরা, খুব বেশি ভার বা ওজন তোলা, মেরুদণ্ডের অতিরিক্ত নড়াচড়া, 
একটানা বসে বা দাড়িয়ে কোন কাজ করা, মেরুদণ্ডে আঘাত পাওয়া,
 সর্বোপরি
 কোমরের অবস্থানগত ভুলের জন্য হয়ে এ ব্যথা দেখা যায়।
অন্যান্য কারণের মধ্যে বয়সজনিত মেরুদণ্ডে ক্ষয় বা বৃদ্ধি, 
অস্টিওআথ্র্যাটিস বা গেঁটে বাত, অস্টিওপোরেসিস, এনকাইলজিং
 স্পনডাইলাইটিস, মেরুদণ্ডের স্নায়ুবিক সমস্যা, টিউমার, ক্যান্সার, বোন টিবি, 
কোমরের মাংসে সমস্যা,বিভিন্ন ভিসেরার রোগ বা ইনফেকশন, বিভিন্ন স্ত্রীরোগজনিত সমস্যা,
 মেরুদণ্ডের রক্তবাহী নালির সমস্যা, অপুষ্টিজনিত সমস্যা, মেদ বা ভুড়ি,
 অতিরিক্ত ওজন ইত্যাদি।
কোমর ব্যথার লক্ষণ
কোমরের ব্যথা আস্তে আস্তে বাড়তে পারে বা হঠাৎ প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে
। নড়াচড়া বা কাজকর্মে ব্যথা তীব্র থেকে তীব্রতর হতে পারে। 
ব্যথা কোমরে থাকতে পারে বা কোমর থেকে পায়ের দিকে নামতে 
পারে অথবা পা থেকে কোমর পর্যন্ত উঠতে পারে। অনেক সময় কোমর
 থেকে ব্যথা মেরুদণ্ডের পেছন দিক দিয়ে মাথা পর্যন্ত উঠতে পারে।
 রোগী অনেকক্ষণ বসতে বা দাঁড়িয়ে থাকতে পারে না
। ব্যথার সঙ্গে পায়ে শিন-শিন বা ঝিন-ঝিন জাতীয় ব্যথা নামতে বা উঠতে পারে, 
হাঁটতে গেলে পা খিচে আসে বা আটকে যেতে পারে, ব্যথা দুই পায়ে বা যেকোন 
এক পায়ে নামতে পারে। অনেক সময় বিছানায় শুয়ে থাকলে ব্যথা
 কিছুটা কমে আসে। 
এভাবে দীর্ঘদিন চলতে থাকলে রোগীর কোমর ও পায়ের মাংসপেশীর ক্ষমতা কমে 
আসে এবং শুকিয়ে যেতে পারে, সর্বোপরি রোগী চলাফেরার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
আধুনিক এই যুগেও কোমর ব্যথা একটি আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বাস্থ্য সমস্যা।
 এ সমস্যার সমাধানে প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম।
কোমর ব্যথার প্রতিকার
ফার্মাকোথেরাপি :- চিকিৎসকরা রোগীকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষার পর
 সাধারণত ব্যথানাশক এনএসএআইডিএস গ্রুপের ওষুধ, মাসল 
রিলাক্সজেন
ও সেডেটিভজ জাতীয় ওষুধ দিয়ে থাকেন। 
যেহেতু ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা নির্দিষ্ট মাত্রা রয়েছে সেজন্য অবশ্যই 
একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শমতো ওষুধ খাওয়া উচিত।
ফিজিওথরাপি :- কোমর ব্যথাজনিত সমস্যার অত্যাধুনিক চিকিৎসা
 হচ্ছে ফিজিওথেরাপি।
 এই চিকিৎসাব্যবস্থায় চিকিৎসক রোগীকে ইলেকট্রোম্যাগনেটিক
 রেডিয়েশন, আল্ট্রাসাউন্ড থেরাপি,
 লাম্বার ট্রাকশন শর্টওয়েভ ডায়াথার্মি, অতিলোহিত রশ্মি
, ইন্টারফেরেনশিয়াল 
থেরাপি, ইনফারেড রেডিয়েশন, ট্রান্স কিউটেনিয়াস ইলেকট্রিক
 নার্ভ ইস্টিমুলেটর, ইলেকট্রিক নার্ভ ও মাসেল ইস্টিমুলেটর, অটো 
মেনুয়াল ট্রাকশন, হাইড্রোথেরাপি, লেজার থেরাপি ও বিভিন্ন প্রকার
 ব্যায়ামের মাধ্যমে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।
তা ছাড়া চিকিৎসা চলা অবস্থায় কোমরে নির্দিষ্ট অর্থোসিস বা
 ব্রেস প্রয়োগ করে থাকেন।
সার্জারি :- যদি দীর্ঘদিন ফার্মাকোথেরাপি ও ফিজিওথেরাপি
 চিকিৎসা চালানোর পরও রোগীর অবস্থার পরিবর্তন না হয় রোগীকে 
অবস্থা অনুযায়ী কোমর-মেরুদন্ডের অপারেশন বা সার্জারির করনোর
 পরামর্শ দিয়ে থাকেন চিকিত্সকরা।সার্জারির পরবর্তীতে
 রোগীকে বিশেষজ্ঞ
 চিকিৎসকদের নির্দেশ মতো নির্দিষ্ট ব্যায়াম দীর্ঘ দিন চালিয়ে যেতে হয়।
দৈনন্দিন কাজে সতর্কতা
নিচ থেকে কিছু তোলার সময়-
কোমর ভাঁজ করে কিংবা ঝুঁকে তুলবেন না।

 হাঁটু ভাঁজ করে তুলুন।

কোনো কিছু বহন করার সময়
ঘাড়ের ওপর কিছু তুলবেন না।
ভারি জিনিস শরীরের কাছাকাছি রাখুন।
পিঠের ওপর ভারি কিছু বহন করার সময় সামনের

 দিকে ঝুঁকে বহন করুন।
শোয়ার সময়
উপুড় হয়ে শোবেন না। ভাঙ্গা খাট, ফোম বা স্প্রিংয়ের

 খাটে শোবেন না।
সমান তোশক ব্যবহার করুন।
বিছানা শক্ত, চওড়া ও সমান হতে হবে। শক্ত বিছানা

 বলতে সমান কিছুর 

ওপর পাতলা তোশক বিছানোকে বোঝায়।
দাঁড়িয়ে থাকার সময়
১০ মিনিটের বেশি দাঁড়িয়ে থাকবেন না।
হাঁটু না ভেঙে সামনের দিকে ঝুঁকবেন না।
দীর্ঘক্ষণ হাঁটতে বা দাঁড়াতে হলে উঁচু হিল পরবেন না।
অনেকক্ষণ দাঁড়াতে হলে কিছুক্ষণ পর পর শরীরের ভর এক 

পা থেকে অন্য পায়ে নিন।
দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হলে ছোট ফুট রেস্ট ব্যবহার করুন।
বসে থাকার সময়
আপনার চেয়ারটি টেবিল থেকে বেশি দূরে নেবেন না।
সামনে ঝুঁকে কাজ করবেন না।
কোমরের পেছনে সাপোর্ট দিন।
এমনভাবে বসুন যাতে ঊরু মাটির সমান্তরালে থাকে।
নরম গদি বা স্প্রিংযুক্ত সোফা বা চেয়ারে বসবেন না।
যানবাহনে চড়ার সময়
গাড়ি চলানোর সময় স্টিয়ারিং হুইল থেকে দূরে সরে বসবেন না। 

সোজা হয়ে বসুন।
ভ্রমণে ব্যথার সময় লাম্বার করসেট ব্যবহার করুন।
কোমর ব্যথা বেশি হলে বিছানা থেকে শোয়া ও ওঠার নিয়ম
চিৎ হয়ে শুয়ে এক হাঁটু ভাঁজ করুন।
এবার অন্য হাঁটুটি ভাঁজ করুন। হাত দুটি বিছানায় রাখুন।
এবার ধীরে ধীরে এক পাশ কাত হোন।
পা দু’টি বিছানা থেকে ঝুলিয়ে দিন, এবার কাত হওয়া দিকের

 হাতের কনুই এবং অপর হাতের তালুর ওপর ভর দিয়ে ধীরে ধীরে উঠে বসুন।
দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে বসুন এবং মেঝেতে পা রাখুন।
এবার দুই হাতের ওপর ভর দিয়ে সামনে ঝুঁকে দাঁড়ান।
মেয়েরা যেসব নিয়মকানুন মেনে চলবেন
অল্প হিলের জুতো বা স্যান্ডেল পরুন, বিভিন্ন জুতোর হিলের 

উচ্চতা বিভিন্ন না হওয়াই উচিত।
তরকারি কাটা, মসলা পেষা, কাপড় কাচা ও ঘর মোছার সময়

 মেরুদ- সাধারণ অবস্থায় এবং কোমর সোজা রাখুন।
কোমর ঝুঁকে বাচ্চাকে কোলে নেবেন না। ঝাড়ু দেয়া, 

টিউবওয়েল চাপার সময় কোমর সোজা রাখবেন।
মার্কেটিং বা শপিংয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকতে হলে

 ১০ থেকে ১৫ মিনিট দাঁড়ানো বা হাঁটার পরে বিশ্রামের জন্য

 একটু বসবেন।
বিছানা গোছানোর সময় কোমর ভাঁজ না করে বরং হাঁটু

 ভেঙে বসা উচিত।
ওজন কমানখাদ্যাভাস পরিবর্তন করুন
গরু, খাসির মাংস, ডালজাতীয় খাবার, মিষ্টিজাতীয় খাবার, তৈলাক্ত 
খাবার খাদ্য তালিকা থেকে কমিয়ে শাকসবজি, তরিতরকারি,
 ফলমূল খাদ্য তালিকায় বেশি করে রাখুন। নিয়মিত শারীরিক 
পরিশ্রম করুন এবং যাদের দুপুরে ঘুমানোর অভ্যাস আছে, তা বন্ধ করে রাতে শিগগিরই শুয়ে পড়ুন।
হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা
প্রয়োজনবোধে কিছু মেডিকেল টেস্ট করে যথাযথ হোমিওপ্যাথি
 চিকিত্সা নিলে কোমর ব্যথা সেরে যায় সারা জীবনের জন্য। কারণ
 এর পেছনে অবশ্যই কোনো না কোন কারণ থাকে, হোমিও ঔষধ ঐ
 কারণটাকেই একেবারে রুট লেভেল থেকে নির্মূল 
করে দেয় আর তখন কোমর ব্যথা থাকার প্রশ্নই আসে না।
সূত্র: আধুনিক হোমিওপ্যাথি


প্রাকৃতিক ব্যথানাশক ভেষজ উপাদান

প্রাকৃতিক ব্যথানাশক ভেষজ উপাদান



আমাদের প্রতিদিনকার জীবনপ্রণালী এবং অনিয়ন্ত্রিত মাত্রায় চলাফেরা ও খাদ্যে বিভিন্নরকম উপাদানের অভাব ইত্যাদির কারণে আমরা হরহামেশাই ব্যথায় ভুগছি। শরীরের ব্যথা বা বাতের ব্যথা যেটাই বলুন না কেন ব্যথা আমাদের নিত্যসঙ্গী। এই ব্যথা উপশম করার জন্য ওষুধ একটা কার্যকরী উপায়। আমাদের একটা বাজে অভ্যাস গড়ে উঠেছে শরীরে কোন ব্যথা হলেই পেইন কিলার বা ব্যথানাশক ওষুধ খাই। ব্যথায় পেইন কিলার খাওয়া অবশ্যই ক্ষতিকর। এই সব ওষুধের প্রতিক্রিয়া এতটাই মারাত্নক যে তা কিডনি বা লিভারের ক্ষতি করে। তাই অসুস্থতা বা আঘাত থেকে ব্যথায় আর ওষুধ নয়, দারস্থ হোন কিছু প্রাকৃতিক উপায়ের। তাহলে ক্ষতিকর কোনো পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া হবে না, আবার ব্যথা থেকে মুক্তিও মিলবে।

বিশেষজ্ঞরা বলেন, প্রাকৃতিক ব্যথানাশক ব্যবহারে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। এতে একদিকে যেমন ব্যথা সেরে যায়, তেমনি স্বাস্থ্য থাকে ভালো। জেনে নিন হাতের নাগালে থাকা এসব ব্যথানাশক সম্পর্কে।



হলুদ ও গোলমরিচ

গবেষণায় জানা গেছে, হলুদ এবং গোলমরিচ দুটিই শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। হলুদে কারকুমিন নামে এক ধরনের উপাদান থাকে যার ওপর এর উপকারিতা অনেকটাই নির্ভর করে। কিন্তু কারকুমিন নিজে থেকে শরীরে ভালোভাবে মিশে যেতে পারে না। সেক্ষেত্রে গোলমরিচের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে কারকুমিন পুরোপুরি শরীরে মিশে যায়। গোলমরিচের মধ্যে পাইপারিন নামের এক ধরনের উপাদান পাওয়া যায়। কারকুমিন ও পাইপারিন একসঙ্গে স্বাস্থ্যের সুরক্ষা করে। এই দুটি মসলা একসঙ্গে হজম ক্ষমতা বাড়ায়। এমনকি ব্যথানাশক ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। তাই শরীরে সামান্য ব্যথা হলে হলুদ ও গোলমরিচ একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে পারেন। ক্যানসার কোষ ধ্বংস করতেও কারকুমিন ও পাইপারিনের জুড়ি নেই।

আঙ্গুর

এই ফলের রসে শরীরের রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর উপাদান আছে। রোজ এক কাপ করে খেতে পারলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাবেন।

আনারস

এতে প্রচুর পরিমাণে ব্রোমেলেইন আছে, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ানোর পাশাপাশি পেশিতে টান ধরা এবং প্রদাহ কমায়। বিশেষ করে ইনফ্লমেটরি ডিজিজ আর্থ্রাইটিস-এর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

রসুন

ব্যথা কমাতে রসুনের ব্যবহার সেই প্রাচীনকাল থেকেই চলে আসছে। গাঁটের ব্যথা কমাতে এটি ভীষণ কাজ দেয়। এক কোয়া রসুন কুচিয়ে অল্প গরম তেলে মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ জয়েন্টে ম্যাসেজ করলে আরাম লাগে। রসুন থেঁতো করে লবণ মিশিয়ে লাগালে দাঁতের ব্যথা কমে যায়।

লবঙ্গ

লবঙ্গ এক ধরনের মিষ্টি এবং মশলাদার ঔষধি যা খাওয়ার পর ব্যথা উপশম করতে পারে। মাথা ব্যথা, বাত এবং অন্যান্য প্রদাহ এবং দাঁত ব্যথার চিকিৎসার জন্য লবঙ্গ ব্যবহার করে। মাথা ব্যথা ও মাথা যন্ত্রণা কমায়: ধোঁয়া, রোদ এবং ঠান্ডার জন্য শ্লেষ্মা বেড়ে নানা ধরনের মাথা ব্যথা বা মাথার রোগ দেখা দিতে পারে। মাথা ব্যথা কমাতে লবঙ্গের উপকারিতা অপরিসীম।

আদা

রোজ একটু করে আদা চিবিয়ে খেতে পারলে শুধু আর্থ্রাইটিস নয়, সব ধরনের ব্যথা থেকেই মুক্তি মিলবে।

মাছের তেল

এর ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাথা, পিঠ, স্নায়ু ও রিউম্যাটয়েড আর্থ্রাইটিসের ব্যথা কমায়।

সূর্যালোক

ভিটামিন-ডি এর মাত্রা কমে গেলে শরীরে খুব ব্যথা হয়। সেই ব্যথা কমাতে পারে সূর্যের আলো। কারণ এত প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে, যা ঘাটতি মিটিয়ে ব্যথা কমায়।

ওটস

নিয়মিত ওটস খেতে পারলে তলপেটের ব্যথা কমে। কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেশিয়াম থাকে। এই উপাদানই ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

হাড়ের ঝোল

হাড়ের ঝোল আজকের ডায়েটে জনপ্রিয়তার বাইরে চলে যেতে পারে তবে এটি লজ্জাজনক। এটি কেবলমাত্র কোনও প্রাণীর কম অপচয় হওয়াই নয়, এটি পশ্চিমা ডায়েটে কোলাজেন, প্রোলিন, গ্লাইসিন এবং গ্লুটামিন যুক্ত করে এখন মূলত এই সমালোচনামূলক উপাদানগুলির অভাব রয়েছে। হাড়, মজ্জা এবং ত্বক দিয়ে তৈরি হাড়ের ঝোল খুব স্বাদযুক্ত এবং এতে প্রচুর পুষ্টি থাকে যা ব্যথা হ্রাস করতে পারে।

অ্যালোভেরা

অ্যালোভেরা মাংসপেশীর ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে। এমনকি ব্যথার স্থানে অ্যালোভেরা জেলের ক্রিম লাগালে ব্যথা কমে যায়। অ্যালোভেরায় মিনারেল, অ্যামিনো অ্যাসিডসহ নানা ধরণের পুষ্টিকর উপাদান রয়েছে। যা হাড় ও মাংসপেশিকে শক্তিশালী করে

তাপ এবং বরফ

প্রথমে আপনার ব্যথার জায়গায় বরফ লাগান। এটি কেবল ফোলা এবং প্রদাহকে হ্রাস করে না, এটি অঞ্চলটি স্তব্ধ করে দেয়। বরফ পোড়া রোধ করতে সক্ষম। ৩০ মিনিট বরফ লাগিয়ে আক্রান্ত স্থানটি ঘরের তাপমাত্রায় ফিরে আসতে দিন এবং তাপ প্রয়োগ করুন। একবার প্রদাহ ঠাণ্ডা দ্বারা হ্রাস পেয়েছে, উত্তাপ শক্ত হয়ে যায় এবং বেদনাদায়ক অঞ্চলে সংকোচিত পেশীগুলি শিথিল করে।

বাতের ব্যথা: দীর্ঘমেয়াদি ব্যথা, যা ছয় সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ভোগায় তাদের জন্য চাই তাপনির্ভর চিকিৎসা। হাড়ের জোড়ের পেশি ছিড়ে যাওয়া থেকে বাতের ব্যথা হয়। এমন ব্যথার জন্য তাপ উপকারী। কারণ এতে জোড়ের শক্তভাব প্রশমিত হয় এবং পেশি শিথিল হয়।

মাথাব্যথা: হঠাৎ করে জেগে ওঠা ব্যথার ক্ষেত্রে বরফ উপকারী। কারণ এটি ব্যথার অনুভুতিকে ভোঁতা করে এবং প্রদাহ কমায়। মাথাব্যথার সময় মস্তিষ্কের স্নায়ু ও রক্তনালীতে ব্যথা হয়, যা উপশমে বরফ উপকারী।

ঘাড় ব্যথা: ঘাড় ব্যথা সারাতে বরফ ব্যবহারের ভুল করেন অনেকেই। এক্ষেত্রে মাংসপেশিকে শিথিল করতে তাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন।

রগে টান পড়া: পেশি বা রগে টান পড়া সারাতে বরফ ও তাপ উভয়ই জরুরি। ব্যথার অনুভূতি কমাতে প্রথমে বরফ দিতে হবে। তবে ব্যথা সেরে গেলেও পেশির শক্তভাব থেকে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে তাপ দিয়ে পেশি শিথিল করতে হবে।

এপসম লবণ

শতশত বছর ধরে কোষ্ঠকাঠিন্য, একজিমা ও ফাইব্রোমায়ালজিয়া বা সারা শরীরে ব্যথার চিকিৎসা হিসেবে এ লবণ ব্যবহার করা হচ্ছে। এপসম সল্ট হচ্ছে একটি রাসায়নিক যৌগ যেখানে ম্যাগনেসিয়াম, সালফার ও অক্সিজেন রয়েছে। যখন এ লবণকে পানিতে মেশানো হয় তখন এটি থেকে ম্যাগনেসিয়াম ও সালফেট আয়ন নির্গত হয়, যা ত্বকের মাধ্যমে শোষিত হয়ে গুরুত্বপূর্ণ শারীরিক কাজে অবদান রাখে। এখানে এপসম সল্টকে পানিতে মিশিয়ে ব্যবহার করলে উপকার পাওয়া যায়। এপসম লবণের সাথে হালকা গরম পানিতে ভিজিয়ে রাখলে হাড় এবং জয়েন্টের ব্যথা পাশাপাশি পেশীর ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া বাথটাবে এপসম সল্ট মিশিয়ে বসে/শুয়ে থাকা জনপ্রিয়তা পাওয়ার একটি কারণ হচ্ছে, এটি কঠোর পরিশ্রম বা ব্যায়ামের পর মাংসপেশিতে যে ব্যথা অনুভূত হয় তা উপশমে সহায়তা করতে পারে। সেইসঙ্গে আর্থ্রাইটিসের ব্যথা হ্রাস করে। পাঁচ লিটার পানিতে দুই কাপ এপসম সল্ট মিশিয়ে তাপ দিন। লবণ মিশ্রিত এ পানি কুসুম গরম পানিতে রূপ নিলে আক্রান্ত জয়েন্টকে ভেজান অথবা সেখানে গরম সেঁক দিন।নিমিষেই ব্যথা দূর হয়ে যাবে।


অস্থির ব্যথা

সহজ ৫টি উপায়ে অস্থি সন্ধির ব্যথা দূর করে ফেলুন চিরতরে

সাধারণত বয়স্ক মানুষদের এই জয়েন্টের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে। তবে বর্তমান সময়ে অনেক তরুণদের এই ব্যথায় আক্রান্ত হতে দেখা যায়। ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া হয়ে থাকে এই ব্যথা রোধ করার জন্য। কিন্তু অতিরিক্ত ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর।ব্যায়াম, মেডিটেশন হতে পারে এই ব্যথা দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়। এছাড়াও ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।






(প্রিয়.কম)- হাড়ের সংযোগস্থলকে অস্থি সন্ধি বা জয়েন্ট বলা হয়ে থাকে

। সাধারণত বয়স্ক মানুষদের এই জয়েন্টের ব্যথা বেশি হয়ে থাকে

। তবে বর্তমান সময়ে অনেক তরুণদের এই ব্যথায় আক্রান্ত হতে দেখা যায়

। বাতের কারণে এই ব্যথা দেখা দিলেও বাত ছাড়াও আরও কিছু কারণ এই ব্যথার জন্য দায়ী

। ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া হয়ে থাকে এই ব্যথা রোধ করার জন্য।

 কিন্তু অতিরিক্ত ব্যথানাশক ঔষধ খাওয়া কিডনির জন্য ক্ষতিকর। 

কিডনি সুস্থ রাখার জন্য ব্যথানাশক ঔষধ থেকে দূরে থাকার 

পরামর্শ দিয়ে থাকেন। ব্যায়াম, মেডিটেশন হতে পারে এই ব্যথা 

দূর করার সবচেয়ে কার্যকরী উপায়।

হাড়ের অস্থি সন্ধি বা জয়েন্ট ব্যথার কারণ

হাড়ের ব্যথা এবং হাড় ভাঙ্গা
বাত
হাড়ের ইনফেকশন
জোড়ার পেশি, লিগামেন্ট, ক্যাপসুল 
(আবরণ) ও মেনিসকাস ইনজুরি
লুপিস
অসটিওপোরোসিস ও অসটিওমালাসিয়া
ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন ডি ও সি’র অভাব
ক্যান্সার

ঘরোয়া কিছু উপায়ে এই ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

১। ইপসোম সল্ট

ইপসোম সল্টের উচ্চ ম্যাগনেশিয়াম অস্থি সন্ধির 

ব্যথা কমিয়ে দিয়ে থাকে। এক বালতি কুসুম গরম

 পানিতে আধা কাপ ইপসোম সল্ট মিশিয়ে নিন

। এই মিশ্রণে আপনি আপনার অস্থি সন্ধি ভিজিয়ে রাখুন

। এছাড়া ইপসোম সল্ট ভেজানো পানি দিয়ে গোসল করুন।

২। হলুদ এবং আদা চা

হলুদের অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান শরীরের

 এনজাইম নিয়ন্ত্রণ করে পা ফোলা রোধ করে থাকেন। আদা

 এবং হলুদের অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান অস্থি সন্ধির ব্যথা হ্রাস করে থাকে

। ২ কাপ গরম পানিতে ১/২ চা চামচ আদা কুচি এবং

 ১/২ চা চামচ হলুদ দিয়ে জ্বাল দিন। অল্প আঁচে ১০-১৫ মিনিট জ্বাল দিন

। এর সাথে মধু মেশাতে পারেন। এটি দিনে ২ বার পান করুন

। ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে থাকলে মধু খাওয়া এড়িয়ে চলুন।

৩। পেঁয়াজ

কিছুটা অদ্ভুত শোনালেও পেঁয়াজ আপনার অস্থি সন্ধির ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।

 পেঁয়াজের সালফার একটি অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান আছে। গবেষণায় দেখা গেছে 

পেঁয়াজের মর্ফিন উপাদান অস্থিমজ্জার ব্যথা দূর করতে সাহায্য করে থাকে।

 প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় পেঁয়াজ রাখুন।

৪। মেথি

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি ইনফ্লামেটরী উপাদান সমৃদ্ধ মেথি অস্থি

 সন্ধির ব্যথা বাতের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে।

 ১ চা চামচ মেথি গুঁড়ো এক গ্লাস কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে নিন।

  এটি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পান করুন

। এছাড়া মেথি সারারাত পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পরের দিন সকালে খালি পেটে এটি পান করুন।

৫। গাজর

চাইনিজ ব্যথানাশক ঔষুধে গাজর ব্যবহার করা হয়ে থাকে

। একটি পাত্রে গাজর কুচি করে নিন, 

এর সাথে লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এটি সিদ্ধ করে অথবা কাঁচা অবস্থা খেতে পারেন। নিয়মিত 

এই পানীয় পানে অস্থি সন্ধি ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

পেইন কিলার বা ব্যথানাশক ঔষুধ অস্থি সন্ধির সমস্যা দূর করতে পারে না।

 এর জন্য প্রয়োজন ব্যয়াম, সঠিক ডায়েট এবং তার সাথে এই

 কাজগুলো নিয়মিত করুন। ব্যথা কিছুদিনের মধ্যে দূর হয়ে যাবে।


হাড়ের জোড়ায় ব্যথা? জেনে নিন কিছু ঘরোয়া টিপস

হাড়ের জোড়ায় ব্যথা? জেনে নিন কিছু ঘরোয়া টিপস

হাড়ের জোড়ায় ব্যথা? জেনে নিন কিছু ঘরোয়া টিপস
সকালে উঠে অনেক সময় হাঁটুর প্রচণ্ড ব্যথায় পা ফেলতে কষ্ট হয়। হাঁটু কিংবা হাড়ের জোড়ায় ব্যথা এখন আর বয়সের গণ্ডিতে আবদ্ধ নেই। যে কোনও বয়সেই হতে পারে এমন সমস্যা। মূলত ক্যালসিয়ামের অভাব, অনিয়মিত ডায়েট কিংবা শরীরচর্চা না করার কারণেই এমনটা হয়।

 

এবার দেখে নেওয়া যাক হাড়ের জোড়ার ব্যথা উপশমের কিছু ঘরোয়া উপায়।

হলুদ ও আদা চা: দু’কাপ পানিতে হলুদ এবং আদা ফুটিয়ে সেটিকে হাফ কাপ করুন। এবার এতে এক চামচ মধু মিশিয়ে দিনে অন্তত দু’বার খান। হলুদ ও আদায় রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ব্যথা নিরাময়ে সক্রিয় ভূমিকা নেয়। হলুদের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট কারকিউমিন ব্যথা তৈরি করা হরমোনের নিঃসরণ কমিয়ে দেয়।

লবণ-জলের সেঁক: ম্যাগনেসিয়াম সালফেট সমৃদ্ধ সৈন্ধব লবণ যে কোনও ব্যথা উপশমে অত্যন্ত উপকারী। এক কাপ সৈন্ধব লবণ পানিতে মিশিয়ে একটি মিশ্রণ তৈরি করুন। এ বার সেটা ফুটিয়ে ব্যথার জায়গায় সেঁক দিন। আরাম পাবেন।

ঠাণ্ডা-গরম প্যাক: চিকিৎসকের পরামর্শ মতো থেরাপিউটিক জেল কিনে নিন। এ বার সেটা গরম করে ব্যথার জায়গায় ১৫ মিনিট ধরে মালিশ করুন। জায়গাটা গরম হয়ে উঠলে প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই সেখানে বরফ লাগিয়ে নিন। এই ভাবে পালা করে গরম জেল এবং বরফের সেঁক নিলে ব্যথা দ্রুত কমে যাবে।

মেথি: যে কোনও জ্বালা-যন্ত্রণা কমাতে মেথির জুড়ি নেই। মেথিতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট। হাড়ের জোড়ায় ব্যথায় কষ্ট পেলে প্রতিদিন নিয়ম করে উষ্ণ গরম পানিতে মেথি বীজ ভিজিয়ে খেতে পারেন। অথবা, সারা রাত ভিজিয়ে রাখা মেথির পানি সকালে খালি পেটে খেলেও উপকার পাওয়া যাবে।

অ্যাপেল সিডার ভিনিগার: অ্যাপেল সিডার ভিনিগারে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস যা আক্রান্ত জায়গার টক্সিন টেনে বার করে দেয়। এক কাপ উষ্ণ গরম জলে দু’চামচ ভিনিগার ও কয়েক ফোঁটা মধু মিশিয়ে দিনে ৩-৪ বার খান। অ্যাপেল সিডারে ওলিভ ওয়েল মিশিয়ে মালিশ করলেও উপকার পাবেন।

গাজর-লেবুর জুস: দুইটা গাজর পিষে তার রস বের করুন। এ বার তাতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে জুস বানিয়ে খালি পেটে খান। নিয়মিত খান এই জুস।

মরিচের গুঁড়ো: লাল মরিচে রয়েছে ব্যথানাশক উপাদান ক্যাপসাইসিন যা ব্যথা উপশমে খুবই কার্যকরী। হাফ কাপ নারকেল তেলে দু’চামচ মরিচের গুঁড়ো মিশিয়ে ব্যথার জায়গায় মালিশ করুন। এ বার ২০ মিনিট রেখে উষ্ণ গরম পানিতে জায়গাটা পরিষ্কার করে নিন। দিনে ৪-৫ বার এই ভাবে মালিশ করুন।

ফেসবুকটি বিনামূল্যে নয়

Welcome our bloge   ফেসবুকটি বিনামূল্যে নয়  আমাদের ব্লগa স্বাগতম   ফেসবুক নিখরচায় নয় ইন্টারনেটের অনেকাংশের অর্থনীতি দুটি মূল্যবান সামগ্রী...

Search This Blog

Labels