ভবিষ্যতে, লুপ্ত হয়ে যেতে পারে, সেটা এখনই ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে, এরকম পেশা,
১। লিফটম্যান।
লিফটে তিনি থাকা বা না থাকা, একজন লিফট ব্যবহারকারীর জন্য প্রয়োজনীয় মনে হয় না। তিনি লিফটে থাকা সত্বেও, একজন লিফট ব্যবহারকারী নিজেই, বাটন টিপে পৌঁছে যান, যেকোনো তলায়। আজকাল, অধিকাংশ লিফটে, লিফটম্যান রাখা হয় না।
২। কল সেন্টার কর্মী।
ফোন করলেই শোনা যায়, “হিন্দীকে লিয়ে এক দাবাইয়ে, বাংলার জন্য দুই টিপুন, প্লিজ প্রেস থ্রী ফর ইংলিশ”। যন্ত্রের দ্বারাই যদি কাজ হয়, দরকার কি বেতন দিয়ে লোক রাখার ?
৩। লাইব্রেরীয়ান ।
কি দরকার, সময় নষ্ট করে লাইব্রেরীতে তে যাওয়ার। অনলাইনেই তো দেখে নেয়া যাচ্ছে, যে কোনো বই।
৪। ট্র্যাভেল এজেন্ট।
মোবাইল ফোনের কীবোর্ডে আঙুল চালিয়ে, মুহুর্তেই, কনফার্ম হয়ে যাচ্ছে, বিশ্বভ্রমণ করার টিকিট। ফলে, প্রতিদিনই নিত্য নতুন অফার। টিকিট কাটলেই, হোটেলে থাকার ক্ষেত্রে ছাড়ের উপর ছাড়। তবুও যদি, টিকে থাকা যায় এ লড়াইতে।
৫। প্রিন্টিং, জেরক্সের ব্যবসা।
“No need to print, unless it is required” বা “please upload soft copy of documents”। দরকারই নেই প্রিন্ট বা জেরক্সের।
৬। ব্যাঙ্ক টেলার ।
ক্যাশ টাকার দরকারই তো নেই। ডিজিট্যাল ব্যাংকিংই তো ঝামেলাহীন মনে হয়। পাড়ার সব্জী বিক্রেতাই, মোবাইলে ইনস্টল করে নিয়েছেন, BHIM।
৭। এনকোয়ারী কাউন্টার। শুধু শুধু বসেই থাকা সারাদিন। কেউই তো আসেনই না। মোবাইলেই দেখে নেন ট্রেনের সব তথ্যাদি। কর্মহীন অবস্থায়, ফাঁকা কাউন্টারে বসে থেকে থেকে, দুশ্চিন্তা আসেই, চাকরী থাকবে তো ?
৮। ক্যুরিয়ার।
অদূর না হলেও, সুদূর ভবিষ্যতে, প্রয়োজন না ও হতে পারে।
ঘরে বসে মোবাইলে অর্ডার করা পিজা, চলে আসতে পারে ড্রোনে করেই।
ধন্যবাদ।
No comments:
Post a Comment